চীন-ইউরোপ মালবাহী ট্রেন চীনের নতুন উন্মুক্ততা প্রদর্শন করে
রপ্তানিপণ্য নিয়ে চীন-ইউরোপ মালবাহী ট্রেন ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে। বেশ ক’বছর আগে চালুর পর ঘাঁটিটি বিশ্বের বৃহত্তম স্থল-বেষ্টিত দেশ কাজাখস্তানকে প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করা কৌশলগত ‘রপ্তানি বন্দরে’ পরিণত হয়েছে।
চিয়াংসু প্রদেশ চীনে সবচেয়ে আগে চীন-ইউরোপ মালবাহী ট্রেন চালু করার প্রদেশগুলোর অন্যতম। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে লিয়ানইয়ুনকাং থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক মালবাহী ট্রেন চালু হয়। তারপর প্রদেশের সুচৌ, নানচিং ও স্যুইচৌ ইত্যাদি শহর পরপর রেল-লাইন চালু করে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে চিয়াংসু থেকে চীন-ইউরোপ (মধ্য-এশিয়া) মালবাহী ট্রেন ট্রিপের সংখ্যা ছিল ১,৫০৪টি, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
লিয়ান ইয়ুনকাং চীন-কাজাখ আন্তর্জাতিক লজিস্টিক লিমিটেড কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার জুও শ্যুয়েমেই ব্যাখ্যা করেন, ২০১৪ সালে ঘাঁটি চালু হওয়া থেকে মোট ৫ হাজারের বেশি চীন-ইউরোপ (মধ্য-এশিয়া) মালবাহী ট্রেন পাঁচটি ট্রানজিট বন্দর হয়ে ৬টি মালবাহী লাইনে চলাচল করে। এর মধ্যে ট্রানজিটের মাধ্যেম কাজাখস্তান থেকে আমদানিকৃত নিত্য-ব্যবহার্য্য দ্রব্য, রপ্তানিকৃত খনিজ দ্রব্য, খাদ্যের মতো প্রধান বাণিজ্যিক পণ্যের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি চীনের লিয়ান ইয়ুনকাংয়ে সংগ্রহ ও বিতরণ করা হয়।
চীন-কাজাখ (লিয়ান ইয়ুনকাং) লজিস্টিক সহযোগিতা ঘাঁটি হলো চীন-ইউরোপ মালবাহী ট্রেনের মাধ্যমে চীন উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ, বিশ্ব আর্থ-বাণিজ্যিক পরিস্থিতি সুষ্ঠু করতে সহায়তা দেয়ার প্রাণবন্ত একটি ক্ষেত্র। বর্তমানে প্রাচীন ইউরেশিয়ায় প্রতিদিন নতুন উন্মুক্তকরণের গল্প লেখা হচ্ছে।
২০১১ সালের মার্চ মাসে চীনের প্রথম চীন-ইউরোপ মালবাহী ট্রেন ছোংছিং থেকে রওয়ানা হয়। চলতি বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত মোট ৭৩ হাজারের বেশি মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এতে ৬৯ লাখ টিইইউ মালামাল পাঠানো হয়েছে।