গ্রীষ্মের তাপ এড়িয়ে ‘যাযাবর পাখি স্টাইলের’ পর্যটন এখন চীনাদের নতুন পর্যটন পদ্ধতি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মনোরম জলবায়ু-পর্যটন কাঙ্ক্ষিত স্থানের গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণীয় শক্তিগুলোর অন্যতম হয়ে উঠেছে। চীনের পর্যটন গবেষণালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে গ্রীষ্মের তাপ এড়ানো পর্যটন এবং সংশ্লিষ্ট বাজারের আকার বর্তমানে ১ দশমিক ২ থেকে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান।
গ্রীষ্মের তাপ এড়ানো সম্পদের অধিকারী কুইচৌ অনেক ‘জলবায়ু যাযাবর’র কাঙ্ক্ষিত স্থানে পরিণত হয়েছে।
কুইচৌয়ে সবচেয়ে আগে গড়ে ওঠা বৃহত্তম ‘যাযাবর পাখি স্টাইলের’ সাময়িক আবাসস্থলগুলোর অন্যতম চিউবা শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৩৫০ মিটার উঁচু জেলাটির শানবাও কমিউনিটির আশপাশে রয়েছে বন। গ্রীষ্মকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার পর্যটক আকর্ষণ করে এ শহর। এসব পর্যটক মূলত গ্রীষ্মের তাপ এড়াতে এখানে আসেন। গ্রীষ্মের তাপ এড়ানো পর্যটন পাহাড়ি এলাকার ‘গ্রীষ্ম অর্থনীতি’কে শক্তিশালী করেছে।
শানবাও কমিউনিটির অধিবাসী মা দি জানান, মে মাসের আগেই তাঁর হোমস্টের সব ঘর বুক করা হয়ে গেছে। তাঁর বার্ষিক আয় এবার ২ লাখ ইউয়ানে পৌঁছাতে পারে। বর্তমানে কমিউনিটিতে ৪শ’র বেশি হোমস্টে আছে। পর্যটকরা এখানে এসে দুয়েক মাস থাকতে পারেন।
কমিউনিটিতে ছোট ছোট পর্যটকের দল দেখা যায় সর্বত্র। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পাহাড়ি পথে হাঁটাহাঁটি করেন, কেউ কেউ গাছের ছায়ায় বসে চা খান আর খোশগল্প করেন। আবার কেউ কেউ নাচ করেন।
গ্রীষ্মকালীন তাপ এড়ানো জীবনে নতুন রং আনতে সম্প্রতি চিউবা শহরে গ্রামীণ পর্যটন ও সংস্কৃতি শিল্প ঋতু কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাময়িকভাবে বসবাসকারী পর্যটক ব্যায়াম দল, নৃত্যদল এবং শৈল্পিক দল গঠন করে গান গাওয়া, নৃত্য ও ফ্যাশন শোসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা উপস্থাপন হয়।
আরামদায়ক ও মনোরম জলবায়ু, সহজ ও প্রাকৃতিক গ্রামীণ জীবন, আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা… গ্রীষ্মকালের তাপ এড়ানো ‘যাযাবর পাখি স্টাইলের’ সাময়িক অবস্থান চীনা পর্যটনের নতুন পদ্ধতিতে পরিণত হচ্ছে।