রোববারের আলাপন:শুভ চীনা নববর্ষ!
আকাশ: অবশ্যই আছে। ‘ছু ই’ মানে নববর্ষের প্রথম দিন সকালে এবং দুপুরে আবারও আগের দিনের তৈরি চিয়াও জি খেতে হয়।
তৌহিদ: আবার খেতে হবে?
আকাশ: হ্যাঁ। খেতেই হবে।
তৌহিদ: এখন আমি বুঝতে পারছি চিয়াও জি চীনাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আকাশ: হা হা হা, এটা ‘মাছে ভাতে বাঙালি’র মতো।
তৌহিদ: হা হা, আপনি ঠিক বলেছেন।
আকাশ: ভাই, আপনি এখন বুঝতে পারছেন যে চাও জি চীনাদের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। ভাই, তাহলে বাংলাদেশীর জন্য কি কি খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা উতসবের রীতিনীতির সাথে জড়িত? বিরিয়ানি নাকি ভাই?
তৌহিদ:... আচ্ছা, নাস্তায় চিয়াও জি খাওয়ার পর আপনি আর কী কী করেছেন?
আকাশ: আমি বাবার সাথে প্রতিবেশী ও বন্ধুদের বাসায় গিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আমরা প্রথমে পরস্পরকে দেখার সময় বলি: ‘কুও নিয়ান হাও’!
তৌহিদ: কুও নিয়ান হাও।
আকাশ:। হ্যাঁ। মানে শুভ চীনা নববর্ষ।
আকাশ: ভাই, বাংলাদেশে নববর্ষের প্রথম দিনে, আপনাদের রীতিনীতি কী রকম? কী কী করতে হয়? এবং চাউ জি’র মত কোন খাবার কি খেতে হয়? এ রকম রীতিরীতি আছে?
তৌহিদ:.... পান্তা ভাত + ইলিশ + দেশীয় নানা ধরনের ভর্তা
তৌহিদ: আচ্ছা, নববর্ষের প্রথম দিনের পর চীনারা আর কী করেন?
আকাশ: তারপর নববর্ষের দ্বিতীয় দিন অর্থাত ‘ছু আর’, আমরা নানার বাড়িতে গিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।
তৌহিদ: প্রথম দিন দাদার বাড়ি, দ্বিতীয় দিন নানার বাড়ি, তাইনা?
আকাশ: হ্যাঁ। সবাইকে যেতে হবে। পরিবারের অনেকে হয়তো সারা বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকেন, এ দিন এক টেবিলে সবাই গোল হয়ে বসে চিয়াও জি ও অন্য খাবার খেতে খেতে গল্প করে। অনেক সুন্দর স্মৃতি।
আকাশ: বন্ধুরা, আসলে চীনের বসন্ত উত্সবের রীতিনীতি বা উদযাপনের পদ্ধতি চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের। আমার জন্মস্থান হান তান হচ্ছে চীনের উত্তরাঞ্চল। আপনারা এতক্ষণ শুনলেন চীনের উত্তরাঞ্চলের বসন্ত উত্সবের রীতিনীতি। কিন্তু চীনের অন্যান্য অঞ্চলে বসন্ত উত্সবের রীতিনীতি একটু ভিন্ন। তাহলে আমরা এখন শুনবো, চীনের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু রীতিনীতি, কেমন?