বাংলা

শহুরে মেয়ের গ্রামে গিয়ে কমলা চাষ!

CMGPublished: 2022-11-23 16:11:22
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ইন্টারনেটের যুগে মোবাইলফোন নতুন ধরনের খামার সরঞ্জামে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেটের নানা প্লাটফর্মে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলেন চেন হুই। লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি কমলা বিক্রি এবং গ্রামে তার বাগানের আরামদায়ক জীবন সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেন।

চেন হুই বলেন, শহরের তরুণ সমাজ জানতে চায় যে তারা সাধারণত যেসব জিনিস খায় - সেসব কীভাবে বেড়ে উঠে। তারা গ্রামীণ জীবনযাপনও দেখতে চায়।

২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় আরসিইপি চুক্তি। আর চেন হুই উপলব্ধি করেন যে তার ব্যবসার জন্য এটা একটি সুযোগ হতে পারে। আরসিইপির নিয়মের পাশাপাশি তার ইংরেজি বলার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে চেন হুই তার ইকো কমলা থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়াসহ আরসিইপিভুক্ত সদস্য দেশগুলোতে বিক্রি করেন। সেসঙ্গে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিসহ ইইউর অনেক দেশে তার কমলা বিক্রি হয়।

চেন হুই বলেছেন, প্রাচীনকাল থেকে চীন বড় একটি কৃষি-ভিত্তিক দেশ। তাই আমি আশা করি, ভবিষ্যতে বিদেশে চীনের কৃষি পণ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। মেড ইন চায়না লেখা কৃষি পণ্য সবার স্বীকৃতি পাবে।

সময় দ্রুত চলে যায়। চেন হুই গ্রামে থাকছেন গত ৯ বছর ধরে। তিনি এখন সাইট্রাস কমলা চাষ বুঝেন এবং গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্কে গড়ে তুলেছেন। তিনি আঞ্চলিক ভাষাও বলতে পারেন। সবাই তাকে ‘কমলা আপা’ ডাকে।

সময় পেলে তিনি আগের পুরোনো অভ্যাস চর্চা করেন। ফলের বাগানের পাশে ছোট একটি বাড়িতে বসে পিয়ানো বাজান। চেন হুই বলেন, শহর থেকে গ্রামে আসা কখনও মানের অবনমন নয়। তা শুধু ভিন্ন বাছাই। যেহেতু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেহেতু গ্রামকে আরও সুন্দরভাবে নির্মাণের প্রচেষ্টা চালাব।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn