চীনাদের খাবার সমস্যা কীভাবে সমাধান হলো?
জনগণ দেশের ভিত্তি, খাদ্যশস্য জনগণের প্রাণ। খাদ্য নিরাপত্তার ওপর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং অনেক গুরুত্বারোপ করেছেন। চীনের অষ্টাদশ কংগ্রেসের পর তিনি দেশের প্রায় সব কৃষি উত্পাদন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। লোকজন সবসময় দেখে যে, তিনি ক্ষেতে, কৃষকের বাসায়, শস্যের চাষ পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকের জীবন-জীবিকার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। পরিদর্শনের সময় তিনি বার বার খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
২০২১ সালের মে মাসে মধ্য চীনের হ্য নান প্রদেশ পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং-এর একটি আকস্মিক কাজ সবার মনে গভীর দাগ কাটে। পরিদর্শনের পথে তিনি হঠাত্ গাড়ি থেকে নেমে পাশের ক্ষেতের গম চাষের অবস্থা পরিদর্শন করেন। গমের ফলন দেখে তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালে খাদ্যের ফলন হলে পুরো দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের নিশ্চয়তা থাকে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে নিশ্চয় বীজকে হাতে ধরে দেখতে হয়।
২০২০ সালের জুলাই মাসে সি চিন পিং উত্তর-পূর্ব চীনের চিলিন প্রদেশ পরিদর্শন করেন। তাঁর প্রথম ধাপই ছিল শস্যের জমি। সেই পরিদর্শনে তিনি বলেন, খাদ্য হল সব কিছুর ভিত্তি, শস্যের কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে হয়। শরত্কালের শস্যের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে হয়।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, ‘প্রথম চীনা কৃষকের ফসল কাটার উত্সবের’ পর সি চিন পিং চীনের হেইলুংচিয়াং প্রদেশ পরিদর্শন করেন। তিনি গম ক্ষেতে যান, ধান ক্ষেতে যান, শস্য চাষের অবস্থা দেখেন। তিনি বলেন, চীনাদের খাবারের বাটিকে নিজের হাতে ধরতে হবে এবং এতে নিজের চাষ করা শস্য থাকতে হবে।
চীনের ১৪০ কোটি মানুষের খাবারের সমস্যা সমাধান করা সবসময় দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের জীবিকা সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সি চিন পিং বার বার জোর দিয়ে বলেছিলেন, খাদ্য নিরাপত্তা কৌশলগত ব্যাপার।