ওয়েহাই এর শ্রমিক জাদুঘর: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অজানা ইতিহাস
জাদুঘরটির আয়তন দুই হাজার ৩৪৪ বর্গমিটার। এরমধ্যে প্রদর্শনী এলাকা হল ৭২০ বর্গমিটার। জাদুঘরটিতে আছে প্রদর্শনী হল, প্রোজেকশন হল, কফি শপ, সাংস্কৃতিক পণ্যের স্টোর, অফিস রুম ও অন্যান্য ঘর। প্রদর্শনী হলে সেসময়কার শ্রমিকদের দুর্লভ কিছু ছবি, তাদের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসিপত্র, হ্যাট, ব্যাগ, থালাবাটি, ডকুমেন্টস, ডায়রি, মেডেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা। এ ধরনের প্রায় দুই শ’ আইটেম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনী হলে। এসব ঘুরে দেখতে দেখতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে চীনের শ্রমিকদের অমানুষিক পরিশ্রমের দৃশ্য ভেসে ওঠে চোখের সামনে। তবে এতবড় ভয়ঙ্কর যুদ্ধের অনিশ্চয়তার মধ্যেও শ্রমিকরা নিজের দেশকে ভুলে যায় নাই। নানা উৎসব পার্বণে তারা একত্রিত হয়েছেন, আনন্দ করেছেন। কিছু কিছু ছবিতে সেসব দৃশ্য দেখে অভিভূত হলাম। শুধু যুদ্ধের সময়ই নয়। যুদ্ধ থেমে গেলে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের পূণর্গঠনেও তাদের কাজে লাগানো হয়। চীনা শ্রমিকদের দিয়ে রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, বিধ্বস্ত ভবন নির্মাণসহ নানা কাজ করানো হয়। যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পরপরই ২০ হাজার শ্রমিককে দেশে পাঠায় ইংল্যান্ড। বাকীদের পূণগর্ঠনের কাজে লাগানো হয়। অনেকেই মারা যায়। শেষ পর্যন্ত তিন হাজার শ্রমিক প্রথম অভিবাসী হিসেবে ফ্রান্সে থেকে যায়। ২০২০ সালে জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়। প্রতিবছর গড়ে দুই লাখ লোক জাদুঘরটি ভিজিট করে।
ইমরুল কায়েস