বাংলা

বিদেশে “চীনা নির্মাণ” পারস্পরিক কল্যাণের স্পষ্ট উদাহরণ

CMGPublished: 2022-06-20 15:19:52
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আফ্রিকার কেনিয়ায় চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি সিসিসিসি’র অধীনে সিআরবিসি নির্মিত ও পরিচালনা করা নাইরোবি এক্সপ্রেসওয়ে ১৪ মে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। ফলে কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নাইরোবি শহরের কেন্দ্রস্থলে যাবার সময় ২ ঘন্টা থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত কমানো হয় এবং কার্যকরভাবে শহরের কেন্দ্রস্থলের যানজট উপশম করে, বিরাট স্থানীয় কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।

সম্প্রতি নেপালে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন সাইনোম্যাচের নির্মিত পোখরা বিমানবন্দর প্রকল্পের নির্মাণ এবং ইনস্টলেশন প্রকৌশল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। আধুনিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হবার পর কার্যকরভাবে দেশটির পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে এবং দেশটির বিমান চলাচল উন্নয়ন হবে।

চলতি বছর কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান বিদেশে ইতিবাচকভাবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নির্মাণ করে, স্থানীয় অবকাঠামোর মান উন্নত করে, স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বহু কর্মসংস্থান সুযোগ সরবরাহ করে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক সমাজ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে।

উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে চীনা প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম

চলতি বছরের ২১ মার্চ বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুত্ কেন্দ্র—পায়রা ২*৬৬০ মেগাওয়াট অতি-সুপারক্রিটিকাল কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। চায়না জেনারেল টেকনোলজি (গ্রুপ) হোল্ডিং, লিমিটেড বা জেনার্টেক এবং বাংলাদেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগে প্রকল্পটি প্রথম চীনা প্রতিষ্ঠান পিপিপি রূপে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও পরিচালনা বিদ্যুত্ প্রকল্প। কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম উভয়ই চীনা প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা। প্রকল্পে ব্যবহৃত আল্ট্রা সুপারক্রিটিকাল প্রযুক্তির কারণে বিদ্যুত্ কেন্দ্রের প্রধান নিঃসরণের পরিমাণ বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ এবং বাংলাদেশের স্থানীয় মানদণ্ডের চেয়ে অনেক কম। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩তম আল্ট্রা সুপারক্রিটিকাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশে পরিণত হয় এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে সারা দেশে বিদ্যুত্ চলাচল বাস্তবায়ন করতে নেতৃত্ব নেয়। “প্রথম সারা দেশে বিদ্যুত্ চলাচল বাস্তবায়িত দক্ষিণ এশীয় দেশ”—অনেক বাঙ্গালি এ কথা উল্লেখ করতে অতিরিক্ত খুশী হয়। প্রকল্পটি সার্বিকভাবে চালু হবার পর প্রতিবছর দেশটির জন্য ৮৫৮ কোটি ডিগ্রী পরিচ্ছন্ন শক্তি সরবরাহ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এতদঞ্চলে উদ্বেগজনক বিদ্যুত্ সরবরাহ পরিস্থিতি প্রশমন করার পাশাপাশি কার্যকরভাবে বাংলাদেশের জ্বালানী কাঠামো উন্নত করবে।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn