বিদেশে “চীনা নির্মাণ” পারস্পরিক কল্যাণের স্পষ্ট উদাহরণ
আট বছরের নির্মাণ চলাকালে পদ্মা নদীর উত্তর তীরে আস্তে আস্তে কারখানা ও ফিলিং স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। নিকটবর্তী অধিবাসীদের জীবন দিন দিন ভালো হয়েছে। হুমায়ুনের দোকান প্রকল্পের কাছেই অবস্থিত। সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু থেকে তাঁর দোকানের ব্যবসা আরো ভাল হয়েছে। শুরু দিকের রাস্তার পাশে ছোট বুথ থেকে পাল্লা - যুক্ত দরজা থাকা দোকানে পরিণত হয়েছে। সেতু চালু হবার পর ব্যবসা নিশ্চয়ই আরো ভাল হবে। তিনি এমন কথাই বলেছেন।
সড়ক ও রেলপথ চালু হলে সব ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধি সৃষ্টি হয়। পদ্মা সেতু চালু হবার পর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে পণ্য প্রচলন ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যবস্থা ও নিরুপন অনুযায়ী, “স্বপ্নের সেতু”টি দেশটির জন্য বার্ষিক ১.৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে এসে ৮ কোটি মানুষ এখান থেকে লাভবান হবে। পদ্মা সেতু পাশাপাশি “এক অঞ্চল এক পথ” নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন পয়েন্ট এবং চীন ও প্যান-এশিয়া রেলপথের সংযুক্ত পয়েন্ট।
বিদেশে প্রকল্প নির্মাণ করার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কর্মসংস্থান সরবরাহ করা হয়। সেতুর প্রকল্প বিভাগের বাঙালি কর্মী উজিজা দু’বছরের মধ্যে মাপ নেয়া একজন নতুন কর্মী থেকে মোট স্টেশন, সমতলকরণ যন্ত্র ও জিপিএসসহ বিভিন্ন মাপ নেয়া সরঞ্জাম অপারেশন আয়ত্ত করা সুদক্ষ এক কর্মীতে পরিণত হন। তাঁর জীবনযাপনের মানও স্পষ্ট উন্নত হয়েছে। সাতজন সদস্য নিয়ে গঠিত তার পরিবার ৪০ বর্গমিটারের ছোট ঘর থেকে দু’তলা উজ্জ্বল ও প্রশস্ত নতুন বাসায় স্থানান্তর করা হয়। এমবিইসি’র ডিরেক্টর জেনারেল ওয়েন উ সোং ব্যাখ্যা করে বলেন, নির্মাণকাজ শুরু থেকে তারা ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। নির্মাণ কাজে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাঙালি কর্মীদের পেশাগত দক্ষতাও স্পষ্টভাবে উন্নত হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবার পর অব্যাহতভাবে স্থানীয় অন্যান্য প্রকল্পের জন্য পরিষেবা প্রদান করতে পারবে।