মরুভূমি মরূদ্যানে পরিণত হওয়ার গোপন কথা
মরুকরণের কবল থেকে বের হওয়া ছি ল্য ছুয়ান তৃণভূমিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৬০ ধরনের উদ্ভিদ দেখা গেছে। বন্য-খরগোশ, খেঁকশিয়াল, মৌমাছি, প্রজাপতিসহ অনেক বন্যপ্রাণী ফিরে এসেছ, জীববৈচিত্র্য অব্যাহতভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে।
এর ফলে তৃণভূমির স্ব-নিরাময় সামর্থ্য স্থাপন করা গেছে। পুরো প্রকৃতির টেকসই উন্নয়ন সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে।
ছি ল্য ছুয়ান তৃণভূমির পশ্চিমে এক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কান সু প্রদেশের ছিং থু হ্রদ। যা চীনের তৃতীয় বৃহত্তম মরুভূমি বাদাইন জারান মরুভূমি এবং চতুর্থ বৃহত্তম মরুভূমি টেঙ্গার মরুভূমিতে অবস্থিত। ছিং থু হ্রদকে এই দুই মরুভূমি প্রতিরোধের পানির দেয়াল বলা হয়। গত শতাব্দীর ৫০-এর দশকে, ছিং থু হ্রদ পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। এর ফলে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বালিঝড় হতো। দুটি বড় মরুভূমি তখন যুক্ত হতে যাচ্ছিল। ২০০৭ সালে চীন এই হ্রদের উচ্চ অববাহিকার সি ইয়াং নদী পরিচালনার কাজ শুরু করে। এর ফলে স্থানীয় লোকজন আশার আলো দেখে। ভূগর্ভস্থ পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে। ৫১ বছর শুকিয়ে যাওয়ার পর ছিং থু হ্রদ আস্তে আস্তে মরুভূমি হয়ে ওঠে।
স্থানীয় মিন ছিন জেলার জলসেচ ব্যুরোর প্রকৌশলী ওয়াং সি ভেং বলেন, ২০০৭ সালে সি ইয়াং নদীর পরিচালনা কাজ শুরু হলে ২০১০ সাল থেকে ছিং থু হ্রদে পানি সরবরাহ শুরু হয়। তখন শুকিয়ে যাওয়া ছি থু হ্রদের আয়তন বেড়ে দাঁড়ায় ৩ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে এই হ্রদের আয়তন আরো বড় হয়েছে, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.৭ বর্গকিলোমিটার।
বর্তমানে ছিং থু হ্রদে ২৬.৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় পানির আয়তন এবং ১০৬ বর্গকিলোমিটারের জলাভূমি স্থায়ীভাবে বজায় রয়েছে। যা একটি সবুজ ফুসফুসের মত মরুকরণ প্রতিরোধ করে চলেছে।
সবুজ শুধু ছি ল্য ছুয়ান এবং ছিং থু হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবর্তন নয়, বরং তা চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর মনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়, নদী, বন, হ্রদ, ঘাস এবং মরুভূমির পরিচালনা করতে হবে। প্রাকৃতিক সংরক্ষণ প্রকল্প ভালোভাবে করতে হবে। প্রাকৃতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। মরুভূমিকে মরূদ্যানে পরিণত করা হচ্ছে। চীনকে আরও সুন্দর দেখা যাচ্ছে।