মরুভূমি মরূদ্যানে পরিণত হওয়ার গোপন কথা
মরুকরণকে ‘বিশ্বের ক্যান্সার’ বলা হয়। যা বিশ্ব প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। চীনে এমন একটি তৃণভূমি আছে। আগে তা ছিল কবিতায় ও গানে- স্বর্গের মতো সুন্দর জায়গা। এক সময় তা মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছিল, হ্রদ শুকিয়ে গিয়েছিল। তাহলে কীভাবে এই তৃণভূমি আবার জেগে উঠলো? কীভাবে মরুকে প্রতিরোধ করে তৃণভূমি প্রাকৃতিক দেয়ালে পরিণত হলো? আজকে এই বিষয়ে কথা বলবো।
ছি ল্য ছুয়ান, ইন পাহাড়ের নিচে, তৃণভূমি অনেক বিস্তীর্ণ, বাতাসে কোমল ঘাস নামিয়ে দিলে গরু ও খাসি দেয়া যায়। এই সুন্দর কবিতা চীনাদের কাছে অতি পরিচিত। যা চীনের সুন্দর তৃণভূমি ছি ল্য ছুয়ানের অতীতের অবস্থা বর্ণনা করে। ছি ল্য ছুয়ানের ভাগ্যের মতো, চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার ছিং থু হ্রদ হাজার বছর ধরে আস্তে আস্তে শুকিয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সবুজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সি চিন পিং-এর প্রাকৃতিক সভ্যতা চিন্তাধারার নেতৃত্বে চীনের সব কিছুর পরিবর্তন ঘটছে।
এই মালভূমি হলো ইনারমঙ্গোলিয়ার ছি ল্য ছুয়ান। এই তৃণভূমি এক সময় খুব সমৃদ্ধ ও সবুজ ছিল, তবে পরে মরুকরণের কবলে পড়ে। স্থানীয় সরকার ও জনগণের নিরলস চেষ্টার পর এখন এখানে আবারও দেখা যাচ্ছে সবুজ চেহারা। প্রাণচঞ্চল তৃণভূমি সবার সামনে জেগে উঠছে।
তাহলে এই তৃণভূমি পুনরুদ্ধারের গোপন রহস্য কি? এখানে ২২ হাজার বন্য উদ্ভিদের বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা হল ছি ল্য ছুয়ান তৃণভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারের রহস্য।
স্থানীয় মেং ছাও গবেষণাকেন্দ্রের বীজ সম্পদ ও পরীক্ষাকেন্দ্রের উপ-পরিচালক চেং লি না বলেন, ‘ঘাসের নোয়াস আর্ক’ মানে আমরা ঘাসের বীজ ও শস্যের বীজ সংগ্রহ করি, শুধু সংরক্ষণ নয়, বরং আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বীজ শিল্পের উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক অবস্থা পুনরুদ্ধার প্রকল্পে প্রয়োগ করা যায়।