প্রযুক্তির সাহায্যে খাদ্যের মান উন্নয়ন
চীনে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল খাবার। টেবিলে রাখা খাবার আমাদেরকে সুন্দর জীবনযাপনের মানে বলে দিতে পারে।
হু নান প্রদেশে একদল কৃষি বিজ্ঞানী রয়েছেন। তাদের মূল কাজ হল আরও ভাল খাবার সরবরাহ করা। তারা সারা জীবন ধরে খাবার নিয়ে গবেষণা করেন। কীভাবে ধানের আরও ফলন হবে, মাংস কীভাবে আরো পুষ্টিকর হতে পারে, মাছ কীভাবে আরো সুস্বাদু হবে এবং কীভাবে ভোজ্য তেল স্বাস্থ্যকর হতে পারে? এসব নিয়ে চিন্তা করেন তারা। হু নান চীনের গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উত্পাদন কেন্দ্র। এখান থেকে সারা চীনে শাকসবজি ও ভোজ্য তেলও সরবরাহ করা হয়।
তিপ্পান্ন বছর বয়সি লিউ হং সুন একজন কৃষক। সারা জীবন ধরে তিনি ধান চাষ করে আসছেন। গত বছর তার শতাধিক মু (১০-১২ হেক্টর) জমিতে ৩ লাখ কেজির বেশি চাল উত্পাদিত হয়। জমির উত্পাদন দক্ষতা এখন আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। কারণ বিশেষজ্ঞরা তার কাছে এসে তাকে চারা, সার, ড্রোনের ব্যবহারসহ নানা বিষয় শিখিয়েছেন। লিউ হং সুনের জন্মস্থান লিউ ইয়াং সমতল ভূমিতে। কয়েক দশক আগে প্রত্নতত্ত্ববিদরা এখানে ৬,৫০০ বছর আগের ধান ক্ষেত আবিষ্কার করেছেন, তার মানে হু নান অনেক আগ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উত্পাদন কেন্দ্র। পাশাপাশি, হু নান থেকে চীনের নানা প্রদেশে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। দেশের ২.৮ শতাংশ চাষের জমি নিয়ে দেশের ৪.৫ শতাংশ খাদ্য উত্পাদন করে হু নান। আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এতে বড় ভূমিকা পালন করছে।
একবিংশ শতাব্দীতে চীনকে কে খাওয়াবে? ধানের বীজ দিয়ে পশ্চিমাদের এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইউয়ান লং পিংসহ হুনানের কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মীরা। হু নান চীনের প্রথম প্রদেশ যেখানে ব্যাপকভাবে হাইব্রিড ধানের প্রসার হয়। প্রতিটি মৌসুমে এই ধানের উত্পাদন পরিমাণ প্রতি মু (৬৬৭ বর্গমিটার) জমিতে ৭০০ থেকে ১,১০০ কেজি হতে পারে। আর ২০২১ সালে দুই মৌসুমে উত্পাদন হয়েছে প্রতি মু (৬৬৭ বর্গমিটার) জমিতে ১,৬০৩.৯ কেজি।