গ্রামীণ নারীদের আন্তর্জাতিক ব্যবসা
১৯৮৩ সালে চীনের শান তুং প্রদেশের ত্য চৌ শহরের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তুং বিন। গ্রামীণ নারীদের নিয়ে তার পণ্যগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীনের তাইওয়ানসহ নানা অঞ্চলে অনলাইনে বিক্রি হয়। তুং বিন একটি ই-কমার্সের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন। গ্রামের নারীদের অনেকে তাদের নিজ প্রদেশের বাইরে কখনও যাননি, তবে তারা এখন বিদেশীদের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। দশ কিলোমটার এলাকার মধ্যে তাদের ব্যবসার দশ-বারোটি শাখা অফিস আছে। আর তাদের কর্মীরা হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ নারী। ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তুং বিন তার ব্যবসা কাছের কয়েকটি জেলায় প্রসারিত করেছেন। ২০২০ সালে ৩০০ নারী কর্মী নিয়ে গঠিত এ কোম্পানির বার্ষিক মুনাফা এখন ৩ কোটি ইউয়ান। কর্মীদের মাসিক বেতন ১৫,০০ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত। মূল বেতন ছাড়াও প্রতিভাবান ও পরিশ্রমীরা আরও বেশি উপার্জন করতে পারে।
তুং বিনের সবকর্মী আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দা। আগে গ্রামের পুরুষরা বাইরে গিয়ে কাজ করতেন, আর গ্রামে থেকে শিশুদের যত্ন নিতেন নারীরা। তুং বিনের একজন বন্ধু আছেন,তার নাম লি ছুয়ান শুয়াই। তিনি নিজের গ্রামে নিজস্ব মিডিয়া ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। গ্রামে থাকা নারীদের নিয়ে তিনি এটি করেন। তার কর্মীদের বার্ষিক আয় ১০ হাজার ইউয়ান ছাড়িয়েছে। ২০১৭ সালে লি ছুয়ান শুয়াই তুং বিনকে বলেন, গ্রামে যাও, তাদেরকে নিয়ে ই-কমার্স কর,ওখানে সম্ভবনা রয়েছে।
গ্রমীণ নারীদের মূল কাজ হল পরিবারের যত্ন নেয়া। তবে তারা যদি একটি চাকরি পায়, তাহলে তাদের বেশিভাগই এটি পরিত্যাগ করবে না। গ্রামের অতিরিক্ত শ্রম ব্যবহার করে তাদের আয় বৃদ্ধি করতে চান তুং বিন।
প্রথম দোকান খোলার পর তুং বিন তার কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ দেন এবং তিনমাস পর তিনজন সেরা কর্মীকে অন্য গ্রামে পাঠান। তারা নিজ নিজ গ্রামে শাখা দোকান খুলেন। ২০১৭ সালে তুং বিন জেলার ৭টি উপজেলায় দোকান খুলেন এবং প্রতিটি দোকানে একজন কর্মীকে দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে নিয়োজিত করেন। একে ব্যবস্থাপনায় অ্যামিবা ব্যবসায়িক মডেল বলা হয়, যা কাজুও ইনামোরির ব্যবসার প্রথম দিন থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। কর্মীরা ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করেন। আগে গ্রামের নারীরা বাড়িতে প্রবীণ ও শিশুদের যত্ন নিতেন, এখন তারা বাড়িতে প্রবণীদের যত্ন নেন, শিশুদের স্কুলে পাঠান এবং অফিসে কাজ করেন।