আকাশ ছুঁতে চাই ৫৭
১ চীনা মেয়ে ও বাংলাদেশি ছেলের ভালোবাসার গল্প
২. ৯৩ বছর বয়স্ক নকশা শিল্পী নারী
৩. পোশাকে ড্রাগনের নকশা
নারী ও শিশু বিষয়ক অনুষ্ঠান আকাশ ছুঁতে চাই থেকে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আমাদের অনুষ্ঠানে আমরা কথা বলি নারী ও শিশুর অগ্রযাত্রা, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সাফল্য, সংকট সম্ভাবনা নিয়ে। আমরা কথা বলি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের অধিকার নিয়ে।
চীনা মেয়ে ও বাংলাদেশি ছেলের ভালোবাসার গল্প
১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল বাংলাদেশে পহেলা ফাল্গুন এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার কাছে কোন কিছুই যেন বাধা নয়।তারই আরেকটি উদাহরণ বাংলাদেশের আদনান নাফিস ও চীনের দৌ শাওহান। ভালোবেসে বিয়ে করে একযুগেরও বেশি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন তারা। নয় বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে এখন তাদের সুখের সংসার। বিস্তারিত শুনবো আফরিন মিমের প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশের ছেলে আদনান নাফিস ও চীনের মেয়ে দৌ শাওহান। ভিন্ন ভাষা ও ভিন্ন সংস্কৃতির বাধা পেরিয়ে নিজেদের তারা বেঁধেছেন ভালোবাসার বাঁধনে। আনন্দ, হাসি-গানে দাম্পত্য জীবনের ১৪ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন তারা।এই বছরগুলোতে বলতে গেলে বাংলাদেশের জীবনধারায় পুরোপুরি মিশে গেছেন দৌ শাওহান।
২০০৫ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য দুজন গিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে। সেখানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে, একই বিভাগে পড়ার সুবাদে পরিচয় দুজনের। পরিচয় থেকেই ধীরে ধীরে হয়ে যায় প্রেম।
পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিক আয়োজনেই ২০০৯ সালে বাংলাদেশে বিয়ে হয় নাসিফ ও দৌ শানের।এরপর থেকে শুরু হয় তাদের একসঙ্গে পথচলা।
পছন্দের খাবার সম্পর্কে দৌ শাওহান বলেন, “ আমি চা দিয়ে বাখরখানি খেতে খুব পছন্দ করি। এছাড়া বাংলাদেশি কাচ্চি, বিরিয়ানি, কাবাব, শুটকি,পায়া।
শুধু দেশি খাবারই নয়, দৌ শাওহান বাংলাদেশের সংস্কৃতিতেও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন ভালোভাবে। একসময় চীনা পোশাক পরলেও এখন হরহামেশাই পরছেন শাড়ি। এমনকি নিজে শাড়ি পরলে স্বামীকেও পরতে বলেন পাঞ্জাবি।
এ প্রসঙ্গে আদনান নাফিস বলেন, “আমি যেদিন প্রথম পাঞ্জাবি পরি তখন আমা স্ত্রী খুব অবাক হয়ে তাকিয়েছিল। সে খুব চায় আমি পাঞ্জাবি পরি। পাশাপাশি আমি যেসব পাঞ্জাবি পরি তার সবই সে কিনে দিয়েছে”।