বাংলা

চীনে নারীর ক্ষমতায়ন সমৃদ্ধ করছে শিল্পকে-China Radio International

criPublished: 2021-08-05 17:05:10
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনের সু ছাং হ্যারিস-সিম্পসন বহু বছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলে মার্কিন মুল্লুকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহুবছর কাটিয়ে ২৫ বছর পর চীনে ফিরে আসেন তিনি। তিনি যখন চীনে আসেন তখন দেশটিতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন ও সংস্কারের বিপ্লব চলছিল।

সাধারণত পুরুষ-অধ্যুষিত শিল্পে কাজ করেছেন সু ছাং। তিনি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত নারীদের নেতৃত্বে আসতে হলে কতোটুকু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। ১৯৯০ এর দশকে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেও, চীনা নারীদের কর্পোরেট সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সুযোগ ছিল কিছুটা কম।চীনে নারীদের কণ্ঠস্বরকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় নিয়ে সু ছাং প্রতিষ্ঠা করেছেন SCHS Asia নামে একটি সংগঠন। যেখানে নারীরা তাদের যেকোনো মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের ক্যারিয়ার সম্পর্কে নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়। এ পরামর্শের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন সু। বর্তমানে তিনি এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নারী পেশাজীবী সম্প্রদায় তৈরি করা এবং নারীর ক্ষমতায়নের প্রচার এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রবণতা চীনেও ব্যতিক্রম নয়। হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ নারী বিলিয়নিয়ারের বাসিন্দার দেশ চীন। সংগঠন বা কোম্পানি গুলোর মধ্যে নারী সংখ্যা গরিষ্ঠতা বাড়াতে আরও সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। আজকাল এ বিষয়টি অসংখ্য কোম্পানি উপলব্ধি করছে। এতে কোম্পানিগুলির জন্য আরও বেশি রাজস্ব অর্জন করা সম্ভব বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গবেষণা বলছে, ৭০ টি দেশের প্রায় ১৩ হাজারের উদ্যোগের মধ্যে, ৫৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন যে, জেন্ডার বৈচিত্র্যের উদ্যোগগুলি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে। প্রায় তিন-চতুর্থাংশ কোম্পানি দাবি করেছে, ব্যবস্থাপনায় জেন্ডারের বিভিন্নতা থাকায় তাদের মুনাফা ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

রওজায়ে জাবিদা ঐশী

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn