বাংলা

বাঙালি খাবার দিয়ে বিশ্ব জয় করছেন কিশোয়ার চৌধুরী-China Radio International

criPublished: 2021-07-15 18:02:30
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আন্তর্জাতিক মানের রান্নার অনুষ্ঠান ‘মাস্টার শেফ বর্তমান বিশ্বে পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। এই অনুষ্ঠানের একজন প্রতিযোগী বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত নারী কিশোয়ার চৌধুরী। বিশ্বে বাঙালি খাবারের রেসিপি ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। রান্নাবিষয়ক জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। এরই মধ্যে বাঙালি খাবার রান্না করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন এ নারী।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত অস্ট্রেলিয়ান এ নারী মাস্টার শেফ অস্ট্রেলিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন। এই নারী ভোজনবিলাসী বাঙালি সাধারণ এবং মুখরোচক খাবার পরিবেশন করে এরইমধ্যে মাস্টারশেফ খেতাব অর্জনের পাশাপাশি কুড়িয়ে নিয়েছেন ব্যাপক প্রশংসা। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশে প্রচলিত নানা ধরনের খাবারকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করায় বিচারকসহ বিভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকের নজর কাড়েন ৩৮ বছর বয়সী এই শেফ। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কালা ভুনা, লাউ চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি,ফুচকা, চটপটি, সমুচা আর কুলফিসহ একের পর এক বাঙালি মুখরোচক খাবার বানিয়ে চমক দেখিয়েছেন তিনি। কিশোয়ার চৌধুরী একজন বিজনেস ডেভেলপার, পারিবারিক প্রিন্টিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন তিনি। তবে বিদেশে বসবাস করলেও নিজের দেশের ভাষা, সংস্কৃতি চর্চা সবকিছুই ধরে রেখেছেন কিশোয়ার। ১২ বছরের ছেলে এবং ৪ বছরের মেয়েকেও কিশোয়ার বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।

তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মেলবোর্নে হলেও পারিবারিক আবহটা সবসময়ই ছিল বাঙালিয়ানার। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা কামরুল চৌধুরী ছিলেন বিক্রমপুরের আর মা লায়লা ছিলেন কোলকাতার বর্ধমানের। তাঁরা দুজনে প্রায় ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। লন্ডনের কলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করার আগে কিশোয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে ছয় বছর বাংলাদেশে অবস্থান করেন তিনি। কিশোয়ার ২০১৫ তে আবার ফিরে যান মেলবোর্নে।

রওজায়ে জাবেদা ঐশী

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn