কমিউনিস্ট কর্মী মংগো বদলে দিলেন গ্রামের চিত্র-China Radio International
চীনে সিপিসি সদস্যের সংখ্যা ৯১.৯১ মিলিয়ন। এদের মধ্যে অনেকেই নারী। কিভাবে এই কর্মীরা দেশ গঠনে কাজ করছেন চলুন শোনা যাক তাদের কথা।
কমিউনিস্ট কর্মী মংগো বদলে দিলেন গ্রামের চিত্র
চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতের একটি গ্রাম আসি। এই গ্রামের এক প্রবীণ নারী মংগো। ১৯ বছর বয়সে তিনি সিপিসিতে যোগ দেন। সেসময় তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা নারী সিপিসি কর্মীর সংখ্যা ছিল খুবই কম।
১৯৭৭ সালে তিনি গ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে প্রায় পাঁচ দশক ধরে তিনি কাজ করছেন গ্রামের উন্নয়নে। তিনি গ্রাম কমিউনে কাজ করেছেন। সিপিসিতে যোগ দেয়ার পর তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখা শুরু করেন এবং গ্রামের লোকদের জন্য রোল মডেল হয়ে ওঠেন। তিনি যখন পার্টির গ্রাম কমিটির সেক্রেটারি হন তখন আসি গ্রামের অবস্থা ছিল দারিদ্র্যপীড়িত। কৃষিকাজ করার সামান্য সুযোগ সুবিধাটুকুও ছিল না। পুরো গ্রামে ছিল একটিমাত্র ট্র্যাকটর ও দুটি হস্তচালিত লাঙল। সব কাজ হাতে করতো হতো। বর্তমানে সিপিসির কল্যাণমূলক কর্মসূচির সুবাদে প্রতিটি পরিবারের রয়েছে উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি ও ট্রাকটর।খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে চমকপ্রদভাবে। এখন গ্রামে রয়েছে উন্নত জীবনের সকল ব্যবস্থা। স্কুল, হাসপাতাল ও আধুনিক পরিবহন। সরকারের জনকল্যাণমূলক নীতি এবং মংগোর নেতৃত্বে গ্রামবাসীর পরিশ্রমে তারা দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হয়েছে।
মংগোর বয়স এখন ৭০ বছর। তার তারুণ্য তিনি উৎসর্গ করেছেন কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শে, গ্রামের উন্নয়নে এবং গ্রামবাসীর সেবায়। গ্রামের মানুষ তাকে এজন্য খুব ভালোবাসে। বর্তমান গ্রাম কমিটির পার্টি সেক্রেটারিও তার অনেক প্রশংসা করেন। মংগো অবসর নেয়ার পর তার মেয়ে চেয়েছিলেন মাকে তিববতের প্রধান শহর লাসায় নিয়ে যেতে যেখানে উন্নত চিকিৎসা সেবা রয়েছে। জীবন যাপনও অনেক বিলাসী। কিন্তু মংগো তার গ্রাম ছেড়ে যাননি। কারণ তিনি মনে করেন কমিউনিস্ট পার্টির একজন প্রবীণ কর্মী হিসেবে গ্রামের প্রতি তার দায়িত্ব রয়েছে। সিপিসির শত বছরের পথ চলায় এমন অসংখ্য কর্মীর নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও অবদান রয়েছে যারা সবাই মিলে গড়ে তুলেছেন তাদের দেশকে, দারিদ্র্যমুক্ত করেছেন জনগণকে।
শান্তা মারিয়া