বাংলা

‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ৩২

CMGPublished: 2024-09-27 18:32:12
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’।

বিজনেস টাইম’ য়ের এই পর্বে থাকছে:

Ø গাড়ির ডিজিটালাইজেশনে চীনে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বিশ্বখ্যাত মার্সিডিজ-বেঞ্জ

ফ্যাক্টরিগুলোতে এমন রোবট ব্যবহার করা হয় যেগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে কাজ করে। এরা মানুষের চেয়ে দ্বিগুণ দক্ষভাবে পণ্যের গুণমান পরীক্ষা করতে পারে। রোবটগুলো কাজের সময় নানা ধরনের ডেটা সংগ্রহ করে, যা পরে কম্পিউটার সিস্টেমে আপলোড করা হয়। সিস্টেমটি কারখানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়।

বেইজিং বেঞ্জ অটোমোটিভ কোম্পানির প্রেসিডেন্ট এবং সিইও বার্টেলস বলেন

‘এমও ৩৬০ একটি অত্যাধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা, যা মূলত জার্মানিতে মার্সিডিজ-বেঞ্জ গাড়ির জন্য তৈরি করা হয়েছে। চীনা বিশেষজ্ঞরা এটিকে আরও উন্নত করেছেন। যেখানে AI এবং বিগ ডেটা ব্যবহার করা হয়। সিস্টেমটি শুধু গাড়ি উৎপাদন নয়, সরবরাহ চেইন পরিচালনা, মান নিয়ন্ত্রণ, এবং এসেম্বলি লাইন রক্ষণাবেক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

এই ডিজিটাল সিস্টেমগুলোর মাধ্যমে, কারখানাটিতে উৎপাদনের দক্ষতা ১৫ শতাংশের বেশি বেড়ছে। এই বছরের প্রথমার্ধে চীনা বাজারে মার্সিডিজ-বেঞ্জ তিন লাখ ৫২ হাজার ৬০০টিরও বেশি নতুন গাড়ি সরবরাহ করেছে।

চীনের গাড়ি শিল্পে দ্রুত বিদ্যুতায়ন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের প্রবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায়, বেইজিং বেঞ্জ তার ডিজিটাল ও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়ন দ্রুততর করেছে। আর এ জন্য কোম্পানিটি ৮০ জনের একটি আইটি সহায়তা বিভাগ তৈরি করেছে।

আইটি অ্যাপ্লিকেশন বিশেষজ্ঞ উইলিয়ামস বলেন

‘স্থানীয় উৎপাদন, আইটি সহকর্মী এবং আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে প্রতিদিনের আলোচনার মাধ্যমে, প্রকল্পের সাফল্যের জন্য অনেক সহযোগিতামূলক কাজ করতে হয়। এমও ৩৬০ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে, শুধু দক্ষতা নয়, চীনের গতিশীলতাও কাজে লাগাচ্ছি আমরা।’

বেইজিং বেঞ্জ এখন মার্সিডিজ-বেঞ্জের গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বড় উৎপাদন কেন্দ্র। এখানে প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে একটি গাড়ি এসেম্বলি লাইন থেকে বের হয়। বিশ্বব্যাপী বিক্রি হওয়া প্রতি দুটি ই-ক্লাস গাড়ির মধ্যে একটি এই কারখানায় তৈরি।

বেইজিং বেঞ্জ চীনের বিশাল বাজারকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী সরবরাহ চেইন তৈরি করেছে, যা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব চীনসহ বেইজিং-তিয়ানচিন-হেবেই অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই অঞ্চলের উৎপাদনের মূল্য চীনের মোট শিল্প উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি।

গত পাঁচ বছরে, মার্সিডিজ-বেঞ্জ চীনে ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউয়ান গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। এই গবেষণায় অংশ নিয়েছে দুই হাজার জনের একটি দল। যারা কোম্পানির প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের অটোশিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ায় চীনা অটো ও যন্ত্রাংশ নির্মাতারা দ্রুত উন্নতি করছে। এতেই আকৃষ্ট হচ্ছে বিদেশি কোম্পানিগুলো।

।। প্রতিবেদন: নাজমুল হক রাইয়ান

।। সম্পাদনা: ফয়সল আব্দুল্লাহ

Ø চীন বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্প্রসারণে পরিকল্পনা ও করণীয়

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেশ কিছু পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। দুদেশের সরাসরি পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা এসেছে। এসব অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ খোরশেদ আলম।

প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: শাহানশাহ রাসেল

অডিও সম্পাদনা: নাজমুল হক রাইয়ান

সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn