‘বিজনেস টাইম’পর্ব- ১৬
চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’।
বিজনেস টাইম’ য়ের এই পর্বে থাকছে:
· টিকটক ব্যবহার করে ইন্দোনেশিয়ার অনলাইন ব্যবসা তুঙ্গে
· বিশ্লেষণ: চীনের পরিবেশবান্ধব বাণিজ্যে ঈর্ষাকাতর মার্কিনীরা
· সরকারের নীতি সমর্থনে চীনে এগোচ্ছে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির বাজার
টিকটক ব্যবহার করে ইন্দোনেশিয়ার অনলাইন ব্যবসা তুঙ্গে
বছরের শুরু থেকেই ইন্দোনেশিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক। ইতোমধ্যে টিকটক ইন্দোনেশিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে, বদলে দিয়েছে ব্যবসার ধরন।
টিকটকের সাথে দেশটির ই কমার্স জায়ান্ট টোকোপিডিয়া একযোগে কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
নিনো ডিজাইন নামের একটি পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী অ্যাংগারা বলেন এটা তার মতো ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের জন্য লাইফ লাইন হিসেবে কাজ করছে। টিকটককে ধন্যবাদ জানিয়ে অ্যাংগারা বলেন, এতে করে দোকানের পাশাপাশি তার অনলাইন ব্যবসাও জমেছে।
এসএমই খাতকে ডিজিটাল করর উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। তাদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে তিন কোটি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল প্লাটফর্মের আওতায় আনা । ইতিমধ্যে দেশটির ২ কোটি ৭০ লাখ উদ্যোক্তা ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবসা চালাচ্ছে।
।। প্রতিবেদন: শাহানশাহ রাসেল
।। সম্পাদনা: ফয়সল আব্দুল্লাহ
বিশ্লেষণ: চীনের পরিবেশবান্ধব বাণিজ্যে ঈর্ষাকাতর মার্কিনীরা
চীনের পরিবেশবান্ধব বাণিজ্যে ঈর্ষাকাতর মার্কিনীরা এনিয়ে মতামত দিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
সরকারের নীতি সমর্থনে চীনে এগোচ্ছে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির বাজার
চীনে নতুন করে চালু হবে প্রায় ১০ কোটি মোবাইল নম্বর। নম্বরগুলো হবে ১১ ডিজিটের। তবে কোনো মানুষ এ নম্বর ব্যবহার করবে না। ৫জি নেটওয়ার্কের ইন্টারনেট ব্যবহার করে এ সিমকার্ডগুলো কাজে লাগাবে চীনের বুদ্ধিমান গাড়িগুলো। সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিয়েছে চীনের শিল্প এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
বিশ্বখ্যাত কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসি এন্ড কোং জানিয়েছে, এ দশকের শেষ নাগাদ চীনে বুদ্ধিমান গাড়ি এবং এ সংক্রান্ত প্রযুক্তির বাজারের আকার দাঁড়াবে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারে।
বিদ্যুৎচালিত চালকবিহীন গাড়ির জন্য আলাদা করে সিম কবে চালু হবে সেটার সময়সীমা এখনও জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত চীনের ইন্টারনেট যুক্ত গাড়ির বাজারে একটি বড় জোয়ার নিয়ে আসবে।
চীনা গাড়ি প্রস্তুতকারক বিএআইসি মোটর কর্পোরেশনের অটো বিশেষজ্ঞ ইয়াং চোংই বললেন, ‘এ ধরনের সংযোগ প্রযুক্তির কারণে যানবাহন এখন আর কেবল পরিবহনের মাধ্যম নয়, বরং একটি চলমান বুদ্ধিমান যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে। ট্রাফিক লাইট, পার্কিং লট থেকে শুরু করে রাস্তার সঙ্গে রাস্তারও তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ঘটাবে এটি। এর ফলে ব্যবহারকারীরা আরও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পাবে।’
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ফ্ল্যাগশিপ ম্যাগাজিন ছিউশি জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি নিবন্ধে, চীনের শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী চিন চুয়াংলং বলেছেন, সংযুক্ত যানবাহনগুলোর বিকাশ ত্বরান্বিত করতে সরকারি প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হবে।
এ ধরনের গাড়ি মূলত চালকের উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতিতেই অন্য রাস্তায় চলতে থাকা অন্য গাড়িগুলোর সঙ্গে চালিয়ে যাবে তথ্য আদান-প্রদান। গাড়ির ভেতর থাকা ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখা যাবে অন্য গাড়ির লোকেশন এবং রুট।
তাই এ প্রযুক্তি রাস্তায় নামার আগে দরকার নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম। এ কারণেই অবকাঠামো তৈরিতে নতুন করে সিমকার্ড ও ফাইভজি নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে।
আর নতুন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল হিসেবেও এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় গাড়ির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে চীনে।
কারণ ব্যাখ্যা করে চায়না অ্যাসোসিয়েশন অব অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের সেক্রেটারি-জেনারেল ও এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফু বিংফেং বলেছেন, ‘স্বয়ংক্রিয় যানবাহনগুলো অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কারণ স্থানীয় ভোক্তারা পরিবহনখাতে এ ধরনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নিয়ে বেশ উৎসাহী।
এদিকে চীনের দেখাদেখি অন্য আরও দেশও নিজেদের গাড়ি শিল্পে আনতে যাচ্ছে পরিবর্তন। চীনের নতুন জ্বালানির স্মার্ট গাড়িতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগও।
সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের শেষ নাগাদ, চীনে প্রায় ২ কোটি নতুন জ্বালানির গাড়ি আছে।
চায়না প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি-জেনারেল ছুই তংশু বলেছেন, আগের প্রচলিত প্রযুক্তির গাড়িগুলো ব্যবস্থাপনা এখন আর সম্ভব নয়। এখন চালকহীন গাড়ির তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতেও চাই নতুন নীতিমালা। এক্ষেত্রে শিল্পখাতের আবিষ্কারের পাশাপাশি দরকার হবে যাত্রীদের সুরক্ষার। গাড়ির জন্য আলাদা করে সিমকার্ড নিয়ে আসার উদ্যোগটি চীন সরকারের সেই প্রচেষ্টারই অংশ।
।। প্রতিবেদন: ফয়সল আব্দুল্লাহ
।। সম্পাদনা: শাহানশাহ রাসেল
প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: শাহানশাহ রাসেল
অডিও সম্পাদনা: নাজমুল হক রাইয়ান
সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী