বাংলা

সমৃদ্ধ কৃষি চীনকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্য উচ্চতায়

CMGPublished: 2023-02-22 16:37:02
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বিশ্ববাসীকে ক্ষুধামুক্ত রাখতে অল্প অল্প করে ভূমিকা রাখছে চীনের অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। পেছনে পড়ে থাকা ছোট ছোট গ্রামগুলো মুক্তি পাচ্ছে দারিদ্রের শেকল থেকে। স্বল্প পরিসরের উদ্যোগগুলো দেখছে সফলতার মুখ, অনুসঙ্গ হচ্ছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির।

কিন্তু কম সময়ে এত বড় সফলতার গল্প কীভাবে সম্ভব করলো চীন দেশের কৃষকরা? সে গল্পই আপনারা জানতে পারবেন শেকড়ের গল্প অনুষ্ঠানে।

অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তির খবর

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গেল কয়েক দশকে কৃষির উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে চীন। এখন গ্রামের খামারগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে ড্রোনসহ আধুনিক সব ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার। ফল ও ফসল উৎপাদনে বাম্পার ফলন এখন চীনের কৃষিকে পৌছে দিয়েছে অনন্য অবস্থানে।

গেল কয়েক দশকে চীনের কৃষি ও গ্রাম উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির ফসলতোলা মেশিন, ড্রোন প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং কৃষি ও গ্রাম উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কৃষি উৎপাদন বিষয়ে আলাপ করেছেন। তিনি উত্তর পশ্চিম চীনের হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আঙুর চাষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আধুনিক কৃষি উৎপাদন, বনায়ন এবং পানি সংরক্ষণে বিভিন্ন প্রকল্পে জাতীয় ব্যয় বছরে গড়ে ৭.১ শতাংশ বেড়েছে। ৬০ মিলিয়ন হেক্টরের বেশি জমিতে উচ্চমানের কৃষিভূমি গড়ে তোলা হয়েছে। গত দশ বছরে ফসল চাষ ও তোলায় প্রযুক্তির ব্যবহার ১৫ থেকে ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

সেচ ব্যবস্থায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। আধুনিক প্রযুক্তির সেচ ব্যবস্থা ফল ও ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থাতেও অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। ক্ষেত থেকে ফল ও ফসল সংগ্রহ চলছে আধুনিক প্রযুক্তিতে।

সমন্বিত পরিকল্পনা, দূরদৃষ্টি এবং প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে ফল ও ফসল উৎপাদন যেমন বেড়েছে তেমনি কৃষিপণ্য সংরক্ষণ বাজারে বিপণন ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।

দিন বদলের গল্প

যে কোন খরার সময়ে সুখবর নিয়ে এসেছেন চীন ও কেনিয়ার বিজ্ঞানীরা। গবেষণার ফল একদিকে বাড়িয়েছে উৎপাদন অন্যদিকে স্থানীয় কৃষকরা পেয়েছেন ভালো অভিজ্ঞতা। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এরকম উচ্চ ফলনশীল জাত সবার মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে সুখবর নিয়ে এসেছেন চীন ও কেনিয়ার বিজ্ঞানীরা। যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ভাবন করা হয়েছে উচ্চ-ফলনশীল ভুট্টার জাত। আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে আগের চেয়ে ৫০ ভাগ বেশি ফসল ফলানো সম্ভব হবে।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, চীন-আফ্রিকা গবেষণা কেন্দ্র ৪৫টিরও বেশি যৌথ গবেষণা কার্যক্রম চালিয়েছে যেখানে গুরত্ব পেয়েছে জীববৈচিত্র্য অনুসন্ধান, প্যাথোজেনিক অণুজীব শনাক্তকরণ, ভৌগোলিক বিজ্ঞান এবং উচ্চ-ফলনশীল জাতের উদ্ভাবন।

অন্যান্য প্রসঙ্গ

কফি সবারই পছন্দ। চীনের ইউননান প্রদেশের কফি এরইমধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে বিশ্বজুড়ে। দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের এই প্রদেশে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয় কফির। বাজারেও আনা হচ্ছে নানা স্বাদ ও ফ্লেভারের কফি।এই প্রদেশের পুয়ের সিটিতে ২০ হেক্টর জায়গাজুড়ে রয়েছে কফির বাগান। আর গাছে গাছে ধরে আছে কফির ফল।

এই প্রদেশের পু'য়ের সিটির সাথে সাথে বাওশান সিটি, তিহং দাই এবং চিংফো স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচারের খামারগুলোতে উৎপাদন করা হয় উচ্চমানের আরবিকা কফি। কফি শিল্পের বিকাশে ইউননানে আরও বেশি কফি উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কাস্টমস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গেল বছরের প্রথমার্ধে ইউননান প্রদেশ ১৮ হাজার টন কফি বিন রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৩ গুণ বেশি।

এটিমূলত চায়না মিডিয়া গ্রুপ- সিএমজি বাংলার বাংলাদেশ ব্যুরোর কৃষি বিষয়ক সাপ্তাহিক রেডিও অনুষ্ঠান। যা সঞ্চালনা করছেন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট এইচ আর এস অভি।

এ রেডিও অনুষ্ঠানটি আপনারা শুনতে পাবেন বাংলাদেশের রেডিও স্টেশন রেডিও টুডেতে।

শুনতে থাকুন শেকড়ের গল্পের নিত্য নতুন পর্ব । যেখানে খুঁজে পাবেন সফলতা আর সম্ভাবনার নানা দিক। আর এভাবেই চীনা কৃষির সঙ্গে শুরু হোক আপনার দিন বদলের গল্প।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn