বাংলাদেশে কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, আয় ২৭৩২ কোটি টাকা
চীন আন্তর্জাতিক বেতার: ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এমন স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশে উদযাপন করা হল ১৫তম জাতীয় আয়কর দিবস।
দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে আয়কর দিয়ে জনগণকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর আয়কর দিবস উদযাপন করে থাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। যার মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় এসেছে ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
এনবিআর থেকে পাওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রিটার্ন দাখিল হয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ লাখ। যার মাধ্যমে আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়েও রেকর্ড ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে দেশের টিআইএনধারীদের সংখ্যা প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি কাঙ্ক্ষিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা। গত অর্থবছরে রিটার্ন দাখিল করা করদাতা সংখ্যা ২৬ লাখের বেশি হয়েছিল।
২০২১-২২ অর্থ বছর শেষে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা ছিল সাড়ে ৬২ লাখ। যা পরবর্তী সময়ে জুলাই মাসে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৬ লাখে। বর্তমানে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮২ লাখ।
এর আগে ২০২০-২১ করবর্ষে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ ৪২ হাজার করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিল। আর রিটার্ন দাখিলের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন জমা পড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার। যদিও সবমিলিয়ে ওই অর্থবছরে ২৪ লাখ করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিল।
সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।