আরো বেশি চীনা বিনিয়োগ ও সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চীন ‘নিজস্ব সমাধান’ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, শান্তি, উন্নয়ন, সমতা, ন্যায্যতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘মানবতার সার্বজনীন মূল্যবোধকে’ চীন লালন করে।
লি জিমিং, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত
“যে কোনো ধরনের স্নায়ুযুদ্ধ মানসিকতা, দলবদ্ধ বিরোধ অথবা একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।“
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান তুলে ধরেন দুই দেশের বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস। তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
এম এ মান্নান, পরিকল্পনা মন্ত্রী
“চীন জ্ঞান, অর্থনীতি, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অসাধারণ উন্নয়ণ করেছে আমরা তাকে খুবই মূল্যায়ন করি। আমাদের বন্ধু দেশ এসব সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশও তাদের কাছ থেকে এসব বিষয় শিখতে চায়। সাধারণ নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য আমরা তাদের সঙ্গে জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময় করতে পারি।“
আয়োজকরা জানান, পুরো অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা নানা রং ও বর্ণের ফুলগুলো সবই আমদানি করা হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউননান থেকে। কেবল ফুল নয়, প্রদর্শনী কেন্দ্রে ইউননানে উৎপাদিত নানা ধরনের পণ্যের প্রদর্শনী বসে এখানে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউননানের চিকিৎসা সেবা বিষয়ক পণ্য, খাদ্য ও ফুল এবং শিক্ষা উপকরণসহ নানা পণ্যের চাহিদা বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে।