অস্থিতিশীল বাংলাদেশের ডিমের বাজার
আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: ফের বাংলাদেশে বেড়েছে স্বল্প মূল্যের প্রোটিনের উৎস ডিমের দাম। বাজারে ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের পরিসংখ্যান বলছে, “গেল এক বছরে ডিমের দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
মগবাজার-কারওয়ান বাজারের চিত্র
রাজধানীর মগবাজার ও কারওয়ান ঘুরে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির দুই ধরনের ডিম বিক্রি হচ্ছে। বাদামি ও সাদা। বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪৫ টাকায়। আর গলির মুদিদোকান থেকে ডিম কিনতে লাগছে হালিতে ৫০ টাকা। এক মাস আগে এ দর ৫৫ টাকায় উঠেছিল। পরে যা কমে ৪০ টাকা বা এর নিচে নেমে আসে।
অন্যদিকে সাদা ডিম কিছুটা কম দামে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। ফার্মের মুরগির সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি ৪৫ টাকাতে।
এছাড়া, মুরগির ডিমের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে হাঁসের ডিমের ওপর। সপ্তাহের ব্যবধানে হাসের ডিম ২০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০ টাকায়। আর দেশি জাতের মুরগির ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
ডিমের দাম গত মাসে ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার খামারমালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর দ্রুত দাম কমে গিয়েছিল। অবশ্য আগের পর্যায়ে নামেনি।
কী বলছেন বিক্রেতা-ক্রেতারা ও খামারীরা
বিক্রেতারা বলছেন দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা কেনা কমিয়ে দিয়েছে। পাইকারী পর্যায়ে দাম বেড়েছে এ তথ্য জানিয়ে দোকানীরা বলছেন পোল্ট্রি ফিডের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে ডিমের দামে।
মগবাজার মা স্টোরের বিক্রেতা সরোয়ার জানান, অগাস্টের ডিমের দাম বেড়ে ডজন দেড়শ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর দুই সপ্তাহ আগে দাম কমে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা হয়। এই দাম কিছুদিন স্থিতিশীল থাকলেও গত সপ্তাহে দাম বেড়ে প্রতি ডজন ডিম ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হয়। এরপর ডজনে আরও ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে শুক্রবার থেকে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।