ভিয়েতনাম থেকে কাজাখস্তান যাবে চীনা ট্রেন
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: স্থলপথ শুধু নয়, জলপথের সঙ্গেও সংযোগ ঘটাতে নতুন মালবাহী ট্রেন চালু করেছে চীন। চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে চালু হয়েছে এ ট্রেন। এর ফলে কেবল চীনের অভ্যন্তরীণ পরিবহনই নয় বরং এক দিকে ভিয়েতনাম থেকে সূদর কাজাখস্তান পর্যন্ত পরিবহন অনেক সহজ হবে বলে মনে করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বহু প্রতীক্ষা আর সম্ভাবনার প্রাচীন সিল্করুটকে সচল করার চীনা পরিকল্পনা এখন
বাস্তবতা। প্রতিবেশী ভিয়েতনাম থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তানকে সংযুক্ত করেছে সিল্করোডের অংশ ট্রেনপথ। শুরু হয়েছে মালামাল ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।
এই সিল্ক রোডের অন্যতম এলাকা চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং। প্রদেশের হরগোজ কেবল স্থলপথ নয় বরং জনপথকে সংযুক্ত করতে এখানে নতুন করে চালু হয়েছে মালবাহী ট্রেন। ফলে উন্মুক্ত হচ্ছে নতুন এক বাণিজ্য করিডোর।
নতুন ইন্টারন্যাশনাল ল্যান্ড-সি করিডোরে চালু হওয়া রেলপথের প্রথম ট্রেনেই পরিবহন করা হয় আড়াই হাজার টন চিনি। ২৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের এ চিনি আনা হয় ভিয়েতনাম থেকে। ভিয়েতনামের হেইপহং বন্দর থেকে এ চিনি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাজাখস্তানের আলমা আটায়।
ইয়াং চিয়ায়ি, বিজনেস ম্যানেজার, হরগোস বোবাও ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিকস কোম্পানি লিমিটিড
“রেলওয়ের মাধ্যমে চীনের এপার থেকে ওপর পর্যন্ত পরিবহন রুট পৌছে গেছে। এর ফলে ভিয়েতনাম থেকে কাজাখস্তান পর্যন্ত পরিবহনের সময় অনেক কমে গেছে, সমুদ্র পথের সিল্করোড ও সিল্করোড অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে।“
এই করিডোর খোলার মূল লক্ষ্য চীনের সঙ্গে আশপাশের দেশগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য ও মালামাল পরিবহন বাড়ানো। এসব পরিবহন নিয়ন্ত্রণের সামগ্রিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হবে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চংছিং শহর থেকে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ এই করিডোরের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে বিশ্বের ৯০টি দেশের অন্তত ১৯০টি শহরকে। বিশেষ করে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় যে করিডোরগুলো খোলা হয়েছে এটি তারই একটি।