বাংলা

ভোজ্য তেলের নতুন দামের প্রভাব নেই বাজারে

CMGPublished: 2022-07-21 20:10:23
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: বাংলাদেশে গত ১৮ জুলাই থেকে নতুন দামে সয়াবিন তেল বিক্রির কথা থাকলেও এখনো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। আর বেশি দামেই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৭ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তেলের মিল ও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক থেকে সরকার নতুন দাম নির্ধারণ করে সরকার।

নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ৭ শতাংশ কমে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। গেল রোববার পর্যন্ত বাজারে এই তেলের দাম ছিল ১৯৯ টাকা। আর ৯৮০ টাকার পাঁচ লিটারের বোতলের নতুন দাম হবে ৯১০ টাকা।

কিন্তু রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। নতুন দামে তেল কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।

মগবাজার মুদির দোকানে তেল কিনতে আসা সাকিব রায়হান চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “গত দুই তিন মাস ধরে যে তেলের বাজারের উর্ধবগতি ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে গেছিল। সেই দাম এখন কমছে শুনতেছি। কিন্তু বাজারে কমা দামে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন। আমরা সেই সুফল এখনো পাচ্ছিনা। সরকারের এইদিকে নজর দেওয়া উচিত। আর তেল দিয়ে তো সব হয় না। তেলের দামের মত অন্যান্য পন্যের দাম যদি কমতো তাহলে আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষ খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারতো”।

হাতিরপুল বাজারে তেল কিনতে আসলেও নতুন দামে কিনতে পারেননি কাঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “দাম তো সরকার কমাইছে টিভিতে। এখানে এসে তো দেখলাম দাম কমে নাই। আমাদের সেই দুইশোতেই কিনতে হচ্ছে”।

এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন বেশি দামে কেনা থাকায় বেশি দামেই বিক্রি করছেন তারা।

ইস্কাটনের দিলু রোডের তেল বিক্রেতা ফিরোজ চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “আমরা এখনো নতুন রেটের তেল পাইনি। যারা ডিলার তারাও আমাদের আগের রেটেই দিতাছে। আমরাও সীমিত দামেই বিক্রি করতাছি। ৯৫৫ করে কিনে আমরা ৯৬০ টাকায় বিক্রি করতাছি। যারা কিনতে আইতাছে আমরা তাদের বলতেছি, দাম কমলে আমরা আপনাদের কম দামেই দিতে পারবো।“

কথা হয় হাতিরপুল বাজারের তেল বিক্রেতা নায়েব আলী সঙ্গে। তিনি জানান, “দাম কমছে বলতে দুই তিন টাকা কমে বিক্রি করতেছি। আমাদের লাভ হচ্ছে না। মিল মালিকরা, ডিলাররা যদি কম টাকায় দেয়, আমরাও কম টাকায়ই দিবো। আমারা তো আগের মতই দুই-তিন টাকা লাভ করি’।

এদিকে, নতুন দামের সয়াবিন তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ২০ জুলাই থেকে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সম্পাদনা- সাজিদ রাজু

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn