বাংলাদেশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই দিন। প্রতি বছর এই ঈদকে কেন্দ্র করে জমে ওঠে কোরবানির পশুর হাট। রাজধানীতে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি ভিড় জমে প্রধান ও স্থায়ী বাজার গাবতলী পশুর হাটে।
এবার রমজানের পর থেকে গরুর দাম বাড়তি। কোরবানির হাটেও সেই প্রভাব পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার রমজানের পর থেকেই গরুর দাম বাড়তি। কোরবানির হাটেও সেইজন্য দাম একটু বাড়তি। পাশাপাশি সিলেট-সুনামগঞ্জ আর উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাবও পড়েছে পশুর হাটে। তাই গরুর দাম গত বছরের তুলনায় বেশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট সাজানো হয়েছে। নতুন নতুন অস্থায়ী শেডে আকর্ষণীয় ডিজাইনে সাজানো হয়েছে প্রধান ফটক। বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। বিকাশ ও রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে বুথ।
এ বছর রাজধানীতে মোট ১৯টি কোরবানির পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে দুটি হলো স্থায়ী হাট, যেগুলোতে বছরের অন্য সময়ও পশু বিক্রি হয়। উত্তর সিটি করপোরেশনে গাবতলী স্থায়ী হাট আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সারুলিয়া স্থায়ী হাট। এই দুটি ছাড়া ১৭টি অস্থায়ী হাট বসেছে।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা থেকে ১১টি গরু নিয়ে গাবতলী বাজারে এসেছে গরু ব্যবসায়ী হাজী বেলায়েত হোসেন। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “নিজের পালা গরু নিয়া আসছি। এই গরুগুলা কয়েক বছর আগে কিনছিলাম। এর মধ্যে ২ টা গরু ১২ লাখ টাকায় বিক্রির আশা আছে। যদিও এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয় নাই”।
গেল দুইবছরের চেয়ে এবার ভালো বিক্রির আশা নিয়ে ১৩ টি গরু নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে গাবতলী এসেছে সুলাইমান হোসেন লিটন। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “এখন পর্যন্ত কোন গরু বিক্রি করি নাই। দেখি কেমন বেচতে পারি “