বাংলা

২০৩৫ সালের মধ্যে চীনে জলবায়ু সহনশীল সমাজ

CMGPublished: 2022-06-23 19:32:07
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চীনে প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির শিকার হন ৩০ কোটি মানুষ, আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। সামনের দিনগুলোতে জলবায়ুর প্রভাবে বাড়বে বন্যা ও খরার মতো নানা দুর্যোগ। এ কারণে ২০৩৫ সালের মধ্যেই জলবায়ু সহনশীল সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চীন। চীনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রণয়ন করা হয়েছে ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যাডাপটেশন স্ট্র্যাটেজি।

সারা বিশ্বের মতো চীনেও প্রতি বছর বন্যায় ডুবে যায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দাবদাহে আক্রান্ত হচ্ছে বহু অঞ্চল। প্রাণহানী ও সম্পদের ক্ষতিই কেবল নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতি বছর চীন জুড়ে ক্ষতির শিকার হন ৩০ কোটি মানুষ। এসব দুর্যোগে চীনে প্রতি বছর আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এবার ‘জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন নীতি ২০৩৫ প্রণয়ন করেছে চীন। লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানো।

ছাও ছিংছেন, পরিচালক, জাতীয় জলবায়ু কেন্দ্র

“অনেক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে দাবদাহ ভয়াবহ আকারে বাড়বে এবং অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বর্তমান সময়ের চেয়েও ৪গুণ বেশি জমি দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই শতকের মাঝামাঝি সময়ে এসে। ২০৫০ সালের মধ্যে ভারি বৃষ্টির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তন যে অনেক বেশি বিপদ নিয়ে আসছে তা এখনই আমরা বোঝা শুরু করেছি।“

বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে অন্যান্য ১৭টি বিভাগকে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন সরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেবে চীন।

“দেশের বিভিন্ন ভৌগলিক স্থান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ পরিকল্পনার সঙ্গে একীভূত করা হবে। প্রথমত আমরা শনাক্ত করবো কোন কোন দিন দিয়ে আমরা হুমকির মুখে আছে, এরপর তা মোকাবিলার কৌশল ও পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।

প্রত্যেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রকৌশল, প্রাতিষ্ঠানিক, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। আর্থ-সামাজিক খাতের এই অভিযোজন কার্যক্রম যেন পদ্ধতিগতভাবে হয় তার ব্যাপারে জোর দেওয়া হবে।“

এরইমধ্যে কিছু কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানায় চীনের জাতীয় জলবায়ু কেন্দ্র। বিশেষ করে খরা ও দাবদাহ প্রবণ এলাকায় সহনশীল শস্য চাষের ব্যাপারে কাজ চলছে। কিছু কিছু ফসল উত্তরের শীত প্রধান এলাকায় চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন নীতিতে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু বিষয়ের যে কোন পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ ও আগাম তথ্য সরবরাহ করার সক্ষমতাকে বিশ্ব মানে উন্নীত করা হবে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করে চীন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn