জমজমাট মৌসুমি ফলের বাজার
আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: বাংলাদেশে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে না আসতেই রাজধানী ঢাকায় আসতে শুরু করেছে নানা জাতের মৌসুমি ফল। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্তরে স্তরে নানা জাতের ফল সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। তবে এখনও আসেনি মৌসুমি সব ফল। ক্রেতা দেখলেই হাঁক-ডাক দিচ্ছেন বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে ফলের দর কষাকষি করছেন ক্রেতারাও। তবে দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে।
ক্রেতারা বলছেন, অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার ফলের দাম অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে ফল বিক্রেতারা বলছেন, এখনও ফলের পুরো মৌসুম শুরু হয়নি। মৌসুমের শুরুতে দাম একটু বেশি থাকে। এছাড়া এবার ফলও কম উৎপাদন হয়েছে। তাই ভরা মৌসুমেও দাম বেশি থাকবে।
কারওয়ান বাজারে, প্রতিটি পাকা কাঁঠাল ৭০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ২৫০ টাকা, প্রতিকেজি পাকা হিমসাগর, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ আম ৮০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, প্রতি ১০০ পিস লিচু ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতিকেজি জাম ২৫০ টাকা, প্রতিটি তরমুজ আকার ভেদে ৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, তাল প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা দরে। বাঙ্গি ৭০ থেকে ১৫০ টাকা। পাশাপাশি সাদা জামরুল কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা আর লাল জামরুল ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় পাইকারি কারওয়ান বাজারে আম কিনতে আসা ক্রেতা সালমা খাতুনের সাথে। তিনি আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “বাজারে আসলাম আম কেনার জন্য। এইবার দেখছি আমের দাম অনেক বেশি। সাধারণত শুরুতে আমের মণ ১৪০০-১৬০০ টাকা হয়। কিন্তু এবার শুরুতেই ২২০০ টাকা মণ”।
সন্তানদের জন্য মধুমাসের ফল কিনতে এসেছেন আসমা আক্তার। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “জ্যৈষ্ঠ মাস আসলেই বাজারে ফল কিনতে আসা হয়। কিন্তু এইবার দেখছি ফলের দাম অনেক বেশি” ।
কাঁঠাল আর তরমুজ কেনার পর কলার বাজারে ঘুরছিলেন লিয়াকত আলী। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, সবফলের দামই বেশি। এখন এক কেজি কলা চাচ্ছে ১২০ টাকা ডজন”
কাওরান বাজারের ফল বিক্রেতা আরিফ হোসেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, আমরা এখন ভালোমানের হিমসাগর বিক্রি করছি ১০০ টাকা। আর নিম মানের বিক্রি করছি ৮০ টাকা। আরেকটু ছোট যেটা ৬০ টাকা”।
এদিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসন গাছ থেকে আম নামানোর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। যার ফলে আগামী ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪, ১৫ জুলাই থেকে গৌরমতি ও ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম বাজারে আসবে।
আমের দাম নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে আরেক বিক্রেতা বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে রাজশাহীর আরও আম নামবে। তখন দাম কিছুটা কমবে, ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হবে”।
লিচুর বিক্রি ও দাম নিয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতা আনার মিয়া জানায়, “লিচু ভালো বিক্রি হচ্ছে। এখন বোম্বাই লিচু বিক্রি করছি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়। আর বড়টা বিক্রি করছি ৪০০ টাকায়”।
সম্পাদনা: সাজিদ রাজু