সিলেটের বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতের ব্যাপক ক্ষতি
‘মৎস্য অধিদপ্তর থেকে যদি সার, পোনা দেওয়া হয়, তাহলে উপজেলা অনুযায়ী আমরা বিতরণ করবো। আর যদি না আসে, তাহলে আমাদের অফিস থেকে আমরা টেকনিক্যাল পরামর্শ যেমন- কীভাবে কাটিয়ে উঠতে পারে, কখন পোনা মজুদ করতে হবে সেসব পরামর্শ দিবো”।
কৃষিখাতে ক্ষতি
এবারের বন্যায় ধানের জমি তলিয়ে গেছে জকিগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রী এলাকার বাসিন্দা আরিফা খাতুনের। তিনি জানান, “ফসল যার যার তলাইছে, হেতো নিতে পারে নাই বাড়িতে। চার পাঁচ পাখি, আবার কারোর দশ পাখি এরকম ভাবে তলাইগেছে গা”।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের উপপরিচালক কাজী মুজিবুর রহমান জানান, বন্যায় সিলেটের ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা, যেখানে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা, ১ হাজার ৭০৪ হেক্টর বোরো ধানের বীজতলা, যেখানে ক্ষতির পরিমাণ ৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ও ১ হাজার ৫৩৮ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, বন্যার পানি এখনো পুরো নেমে যায়নি। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আমরা ধারণা করছি”।
মোহাম্মদ কাজী মুজিবুর রহমান, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট
“বোরো ধান যেহেতু শতভাগ কর্তন করা হয়েছে সেহেতু এখানে কিছু করার নেই। আউশ ধানের ক্ষেত্রে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বীজতলা না করে, কাদা মাটিতে সরাসরি ছিটিয়ে বীজ বুনতে। আর সবজির ক্ষেত্রে আমরা পানি সরে যাওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এবং আমরা বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি”।
এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। তবে সুরমা নদীর পানি সিলেটের সব পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।