রেশম চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার চীনে
মে ১৯, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: রেশম শিল্প ও চীন যেন একসূত্রে গাঁথা। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রেশম চাষে এবার যোগ হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। তাই রেশম সুতার উৎপাদন ও গুণগতমানও বেড়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন প্রদেশের রেশম চাষীদের দেওয়া হয়েছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষ পদ্ধতির প্রশিক্ষণ। স্মার্ট রেশম চাষের মাধ্যমে তাদের আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি কমেছে উৎপাদন খরচ।
রেশম কারখানায় ট্রের সারি। এরমধ্যে চাষ হচ্ছে রেশম পোকা। সুপ্রাচীনকাল থেকেই চীনের রেশম পৃথিবী বিখ্যাত। ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে রেশমচাষ বেশ শ্রম সাপেক্ষ এবং রেশমকীট ও কোকুন পরিবেশের একটু তারতম্যেই মারা যেতে পারে।
তবে ভালো খবর হলো, আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায় রেশম চাষীরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম থেকে মুক্তি পেয়েছেন।রেশম চাষ এখন হচ্ছে স্মার্ট পদ্ধতিতে।
এই প্রকল্পের কৃষি প্রযুক্তিবিদ সিয়ে ইয়ং বলেন, ‘স্মার্ট কনট্রোল পদ্ধতিতে কারখানার ভিতরে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যখনি দেখা যায় রুমের ভিতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কামবেশি হচ্ছে বা ভেন্টিলেশন কম তখনি ভেন্টিলেশন সিস্টেম কাজ করা শুরু করে। এরফলে রেশমপোকাদের বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকে। রেশমচাষীদের উপর বোঝাটাও অনেক কমে যায়। ’
সিয়ে ইয়ং, কৃষি প্রযুক্তিবিদ
দক্ষিণপশ্চিম চীনের ছোংছিং মিউনিসিপালটির ছিয়ানচিয়াং জেলার থাইচি কাউন্টিতে রেশম কারখানায় কাজ চলছে স্মার্ট পদ্ধতিতে। এই জেলায় ৮টি স্মার্ট রেশম কারখানা আছে।
স্বয়ংক্রীয় ইনকিউবেশন কক্ষগুলোতে এনভায়রনমেন্টাল সেন্সর, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক এবং আলট্রাসনিক হিউমিডফায়ার কাজ করছে।
রেশমপোকারা প্রকৃতিগতভাবেই খুব নাজুক। রেশমপোকা উৎপাদন ও রেশমসুতা তৈরি খুবই শ্রমসাধ্যকাজ। তবে স্মার্ট প্রযুক্তির ফলে রেশম খামারের তুঁতগাছে আগের চেয়ে বেশি কোকুন উৎপাদন হচ্ছে।
এই প্রকল্পের স্থানীয় কর্মকর্তা লু চোও বলেন, ‘ স্মার্ট সিল্কওয়ার্ম কারখানাগুলো চালু হওয়ার পর উৎপাদন খরচ আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। একটি চাষ মৌসুমে আমরা আগের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি কোকুন পাচ্ছি। রেশমচাষীদের আয় আগের চেয়ে অন্তত ১০ শতাংশ বেড়েছে।’
স্মার্ট কারখানাগুলোর কাজের ফলে রেশমসুতার গুণগত মান যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে উৎপাদন ও রেশমচাষীদের আয়।
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া
সম্পাদনা: সাজিদ রাজু