বাংলা

চীনে শেষ বসন্ত বপনের প্রথম পর্বের কাজ

CMGPublished: 2022-05-12 19:20:18
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

মে ১২, চীন আন্তর্জাতিক বেতার;

চীনে চলছে বসন্তকালীন কৃষির মৌসুম। এসময় জমি চাষ, বীজ বপন, চারা রোপণসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করে কৃষক। এরইমধ্যে প্রথম পর্বের ৩২ দশমিক ৮ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে শেষ হয়েছে বীজ বপনের কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল বছরের চেয়ে কম সময়ের মধ্যেই শেষ হয়েছে বপন কাজ।

চলতি বছর, উত্তর-পূর্ব চীনে সুপরিচিত কালো মাটির এলাকা চাষযোগ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংরক্ষণ চাষ প্রদ্ধতির আওতায় ৫.৩ মিলিয়ন হেক্টর জমি কৃষির অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য কর্তৃপক্ষের। বিশেষ করে লিয়াওনিং প্রদেশের ৩ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে এই সংরক্ষণ চাষ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে সরকার। ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে ৬২০ ইউয়ান।

এদিকে, প্রদেশের চেংনানপু গ্রামে একটি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। যা একই সাথে খড় পরিষ্কার করতে পারে, মাটির গভীরে লাঙ্গল চালনা করতে পারে এবং বীজ বপনও করতে পারে।

ঝাং, কৃষক

“এই যন্ত্র ব্যবহার করে খরচের অর্ধেক সাশ্রয় করা যায়। আমি এ বছর প্রায় ১৩ থেকে ২০ হেক্টর কৃষিজমির জন্য এই নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছি”।

চলতি বছর, কেন্দ্রীয় সরকার সয়াবিন ও তেল উদ্ভিদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চালু করেছে নতুন প্রকল্প। প্রকল্পের অধীনে ১৬ টি প্রদেশে এক মিলিয়ন হেক্টর জমিতে রোপন করা হবে সয়াবিন ও ভুট্টার বীজ। এর মধ্যে শুধু পূর্ব চীনের চিয়াংশু প্রদেশেই মোট ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপণ করা হবে সয়াবিন ও ভুট্টা। এছাড়া, ১৮৪ মিলিয়ন ইউয়ান কৃষি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহ করবে ভর্তুকি হিসেবে।

জি লিনঝাং, পরিচালক, কৃষি প্রযুক্তি প্রচার কেন্দ্র

“এই সহায়ক প্রযুক্তিগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে, কৃষকরা তাদের আয় হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার ইউয়ান বৃদ্ধি করতে পারবে। কাউন্টিতে এরইমধ্যে রোপণ এলাকার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৫৩৩ হেক্টরে পৌঁছেছে”।

সর্বশেষ কৃষি তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের ধান রোপণ শেষ হয়েছে, বসন্তকালীন গম চাষের ৮০ শতাংশ, আলু চাষের ৬০ শতাংশ, প্রায় ৭০ শতাংশ বসন্তকালীন ভুট্টা ও

প্রায় ২০ শতাংশ সয়াবিন বীজ বপন করা হয়েছে। চলতি বছরের চাষাবাদের অগ্রগতি গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি বলে জানায় স্থানীয় কৃষি অফিস।

প্রতিবেদন- আফরিন মিম

সম্পাদনা- সাজিদ রাজু

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn