বোয়াও হোপ সিটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শুল্ক মুক্ত মেডিকেল জোন এপ্রিল ২৮ , চীন আন্তর্জাতিক বেতার ;
দক্ষিণ চীনের দ্বীপ প্রদেশ হাইনানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘মেডিকেল পাইলট জোন’। বোয়াও লেচেং ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল ট্যুরিজম পাইলট জোনটি একমাত্র চিকিৎসা পাইলট অঞ্চল। যেখানে স্বাধীন শুল্কমুক্ত মেডিকেল কেনাকাটার সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা।
"বোয়াও হোপ সিটি" নামেও পরিচিতি পেয়েছে এই পাইলট জোন। এটি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যই ২০২৫ সালের মধ্যে মেডিকেল সরঞ্জমের শুল্কমুক্ত বেচাকেনার প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা।
এইমধ্যে চালু হওয়া ২০টি ও নিবন্ধনের অপেক্ষায় থাকা ১০টিরও বেশি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এখানে কার্যক্রম শুরু করেছে। কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুমোদন করা হয়েছে বোয়াও হোপ সিটিতে। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন অথবা ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের অনুমোদিত ওষুধ ও চিকিৎসা যন্ত্র তুলনামূলক খরচে ও ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই কেনা-বেচা করা যাবে এখানে। পাশাপাশি আমদানি-রফতানি কার্যক্রমও হবে অনেক সহজ।
ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল ট্যুরিজম পাইলট জোন সিনিয়র আন্তর্জাতিক বিষয়ক কর্মকর্তা পিটার বুটসমা বলেন, “ লেচেং-এর এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত লাইসেন্সগুলোকে যেখানে আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হতো, এখন সেটি একটি সমন্বিত উপায়ে করা হবে। এবং নথিপত্র ও পণ্য অনুমোদনেও খুব কম লাগবে”।
সকল জরুরী মেডিকেল সরবরাহের জন্য বোয়াও হোপ সিটির যে অনুমোদন নীতি রয়েছে তা একে জাতীয় গবেষণা পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
পিটার বুটসমা, সিনিয়র আন্তর্জাতিক বিষয়ক কর্মকর্তা, ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল ট্যুরিজম পাইলট জোন
"লেচেং চীনের একমাত্র স্থান যেখানে জাতীয় চিকিৎসা পণ্য প্রশাসনের সাথে রিয়েল ওয়ার্ল্ড ডেটা একত্রে ব্যবহৃত হয়। ইদানিং লেচেং-এ 'কীভাবে রিয়েল ওয়ার্ল্ড ডেটা কাজে লাগানো যায়' তার একটি ধারা গঠন করা হয়েছে। এজন্য তুলনামূলক অল্প সময়ের এবং সীমিত প্রচেষ্টায় একটি পণ্যকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা যায়।"
এখন পর্যন্ত, নয়টি ওষুধ এবং ১৪ টি মেডিকেল যন্ত্র একটি রিয়েল ওয়ার্ল্ড ডেটা আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
হাইনানকে দেশের প্রথম অবাধ বানিজ্য বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পর এই প্রদেশের চিকিৎসা আইন ও নীতিকে আরও বেশি উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, শুল্ক-মুক্ত বানিজ্য কেন্দ্র তৈরির এ পদক্ষেপ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভ্রমণপিপাসুদেরকেও বানিজ্যে আকৃষ্ট করবে।
প্রতিবেদন- আফরিন মিম
সম্পাদনা- সাজিদ ইস্যু