বাংলা

সিনচিয়াংয়ে জীবনমানে পরিবর্তন

CMGPublished: 2022-04-14 20:08:31
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সিনচিয়াংয়ে জীবনমানে পরিবর্তন

এপ্রিল ১৪, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে গেল কয়েকবছরে জীবনমানের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে তুলা ও টেক্সটাইল শিল্পের প্রসারে বেড়েছে কর্মসংস্থান। ফলে এখানকার বাসিন্দাদের জন্য তৈরি হচ্ছে চাকরির সুযোগ। বেড়েছে রোজগার।

সিনচিয়াং। চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল। সময়ের ব্যবধানে পাল্টে গেছে এক সময়ের দারিদ্র্যপীড়িত এই অঞ্চল। উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে এখান মানুষের জীবনমানের। বিশেষ করে শিল্পকারখানা ও নানা স্থানীয় শিল্পের বিকাশের ফলে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের। স্থানীয় টেক্সটাইল শিল্পের কর্মীরা বলছেন, তাদের বেতন যেমন বেড়েছে তেমনি পরিবর্তন ঘটেছে জীবনযাপন ধারার।

সিচিয়াং চুংথাই হাইহোং টেক্সটাইল প্রিন্টিং অ্যান্ড ডাইং কোম্পানি লিমিটেডের একজন কর্মী মিরেগুলি ইউশান । তিনি বলেন, ‘গেল বছর এই কোম্পানিতে যোগ দেয়ার পর থেকে আমি নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করেছি। আমার কাজের মান বেড়েছে। এখন আমার মাসিক বেতন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২০০ ইউয়ান। আমি এখন কেবল সঞ্চয়ই করছি না বরং পরিবারের অন্য সদস্যদেরকেও সহায়তাও করতে পারছি। আমি পুরনো টিভি সেট ও ওয়াশিং মেশিন বদলে নতুন কিনেছি। আমার পরিবারের জীবনমান ক্রমশ বাড়ছে এবং আমরা বেশ সুখে আছি।’

সিনচিয়াংয়ে জনসংখ্যার তুলনায় চাকরির সুযোগ কম ছিলো। এই সমস্যা মোকাবেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নতুন নীতি গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার। ফলে কৃষিখামার ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে কাজ পেয়েছে বহু মানুষ।

সম্প্রতি সিনচিয়াংয়ের স্থানীয় সরকার রাজধানী উরুমছিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এখানকার বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় কর্মসংস্থান নীতির ফলে তাদের বদলে যাওয়া কর্মদক্ষতা ও জীবনমানের কথা।

সিনচিয়াং নরমাল ইউনিভারসিটির সহযোগী অধ্যাপক ইয়ান সুয়েছিন বলেন, ‘অনুসন্ধানে আমি দেখেছি যে পরিবর্তিত কর্মসংস্থান নীতির ফলে জনগণের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সিনচিয়াংয়ের ৯৫ শতাংশ পরিবারে এখন টিভি, ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিন আছে। ৩ হাজার ২৮টি গ্রামীণ বাড়িতে জরিপ চালিয়ে দেখেছি, ২ হাজার ২২৭টি পরিবার দারিদ্র্য দূরীকরণে স্থানীয় চাকরির সহায়তা পেয়েছে। রিলোকেটেড এমপ্লয়মেন্টের মাধ্যমে সব জাতির মানুষ তাদের হোমটাউনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তাদের দিগন্ত প্রসারিত হয়েছে, আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, জীবনমান উন্নত হয়েছে এবং সার্বিকভাবে সবদিক থেকেই তাদের ব্যক্তিগত উন্নতি হয়েছে।

তারা আরো বলছেন, কেবল জীবনযাপনের মানই নয় বরং কয়েকটি পশ্চিমা দেশের উত্থাপিত তথাকথিত ‘বাধ্যতামূলক শ্রমে’র অভিযোগকেও উড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে সরকারের এ পদক্ষেপ।

প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া

সম্পাদনা: সাজিদ রাজু

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn