বাংলা

রোজায় চড়া ইফতারি পণ্যের বাজার

CMGPublished: 2022-04-08 21:07:09
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এপ্রিল ৭, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: বাংলাদেশে রমজানের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করে নিত্যপণ্যের দাম। রোজা শুরুর পর তা যেন আরেক দফা বাড়ে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হাতিরপুল, বনানী কাঁচা বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের আগে ও পরে দামের পার্থক্য বেশ।

সারদিন রোজা রেখে ইফতারে ক্লান্তি দূর করতে লেবুর শরবত পান করেন বেশিরভাগ রোজাদার। বাজারে এখন প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বনানী বাজারে লেবু কিনতে আসা রিকশাচালক রমিজ উদ্দিন জানান, “ইফতারির সময় শরবত খাইলে আত্মাটা শক্তি পা্য়। ইফতার কইরা রিকশা চালাইয়া শান্তি পাই। কিন্তু যে দাম একদিন খাইতে পারি তো আরেক দিন পারি না”।

রমজানের ইফতারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ছোলা। এই ছোলার দাম রোজার শুরুতে ছিল ৮০ টাকা। এক সপ্তাহ পরে এই পণ্যের দাম এখন ৮৫ টাকা। একইভাবে চিনির দাম রোজার শুরুতে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা হলেও এখন তা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।

ইফতারের অন্যতম আরেক পণ্য হচ্ছে খেজুর। মান অনুযায়ী প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। অথচ গেল বছর মানভেদে খেজুরের দাম ছিলো কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে।

হাতিরপুল বাজারের খেজুর বিক্রেতা শফিক মিয়া জানান, ‘আমরা খুব বেশি লাভ করি না। আমাদের কিনতে বেশি টাকা লাগে তাই কয়েক টাকা বেশিতে বিক্রি করি’।

রমজানের যেকোন ফলের চাহিদাই বেড়ে যায় কয়েকগুন। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কলা, মাল্টা বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি দামে।

একই বাজারের ফল বিক্রেতা লিমন আখতার জানান, ‘রোজায় ফলের দাম একটু বাড়ে। তবে খুব বেশি এবার বাড়ে নাই। তবে দাম বাড়লেও মানুষ কিনছে ভালো।’

ইফতারে বেগুনির চাহিদা বেশি থাকায় রোজায় বেগুনের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। রমজানের আগে যে বেগুন বিক্রি হত ৪০ টাকা কেজি, সেই বেগুনের দাম এখন গড়ে ৬০-৭০ টাকা।

দাম বেড়েছে সব ধরনের মাছ ও মাংসেরও। বিশেষ করে গরুর মাংসের দাম বেঁধে দেয়া হলেও সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা বাড়তি টাকা নিচ্ছেন। গত বছর প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ৫৫০-৬০০ টাকা ছিল। খাসির মাংসের দাম ছিল ৮০০-৯০০ টাকা। বর্তমানে কেজি প্রতি গরুর মাংস ৬৫০-৬৮০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

সেগুনবাগিচা বাজারে বাজার করতে আসা কর্মজীবী নারী স্বপ্না আক্তার জানান, ‘রোজায় দেখা যায় মাংসটা বাচ্চারা বেশি খেতে চায়। কিন্তু যেভাবে দাম বাড়ছে, আমাদের মত মধ্যবিত্তদের জন্য খাওয়াটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে’।

এদিকে মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে। সোনালি মুরগি গড়ে ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৮৫ টাকা ও লেয়ার ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রোজার আগে কাঁচা মরিচ ছিল ৩০ টাকা কেজি, আর এখন তা ৪০ টাকা। ২০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। ধনেপাতা ছিল ১২০, এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

হাতিরপুল বাজারে বাজার করতে আসা আয়েশা খাতুন জানায়, ‘প্রতিদিনই বাজার করতে আসলে দেখি কিছু না কিছুর দাম বাড়ছে। কি কিনবো বুঝেই উঠতে পারি না’।

প্রতিবেদন- আফরিন মিম

সম্পাদনা- সাজিদ রাজু

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn