চীনে পশুর খামার: প্রসার ঘটেছে দুগ্ধ শিল্পের
মার্চ ২৪, সিআরআই বাংলা ডেস্ক: লাভজনক হওয়ায় চীনের সিনচিয়াংয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে গরু ও উটের খামার। প্রসার ঘটেছে দুগ্ধ শিল্পের। বিশেষ করে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে এসব খামারে।
খামারিরা বলছেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে করায় লোকবল যেমন কম লাগে তেমনি খরচও হয় কম। ফলে সমৃদ্ধ হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষি নির্ভর অর্থনীতি।
সুপরিসর চারণ ভূমি ও বিস্তৃত খামারে এভাবেই দল বেধে ঘুরে বেড়ায় উট। ফলে বেশি সংখ্যক উট পালনে নেই জায়গার সংকট, আছে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা।
চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাস্তি অঞ্চল সিনচিয়াং এর ফুহাই কাউন্টিতে চোখে পড়বে এমন অনেক খামার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে,এখানকার খামারগুলোতে অন্তত ২২ হাজার উট লালন পালন করা হয়। আর দিনে দুধ পাওয়া যায় কমপক্ষে ১৩ টন দুধ।
স্থানীয় একজন পশুপালক জানান, উট পালনে এখন মুনাফা অনেক বেড়েছে।
“আগে আমাদের অল্প কিছু উট ছিলো। এগুলো আমরা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র স্থানান্তরের কাজে ব্যবহার করতাম। কিন্তু বর্তমানে উটের দুধ থেকে অনেক পয়সা উপার্জন করি। তাই এখন উটের সংখ্যাও বাড়িয়েছি। বর্তমানে আমাদের ১শ’র বেশি উট আছে। একেকটি উট থেকে ৩ কেজির বেশি দুধ পাওয়া যায়। আর কীভাবে উট লালন পালন করতে হয়, কীভাবে দুধ দোহন করতে হয় সেব্যাপারে প্রশিক্ষণও নিয়েছি”।
দুগ্ধ শিল্পের জন্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পুরো পরিবেশই বেশ অনুকূল। বিশেষ করে ছিটাই কাউন্টিতে দেখা মিলবে গরুর খামার। খামারে দুধ দোহনের মেশিন স্থাপন করায় গড়ে ৮০টি গাভীর দুধ দোহনে সময় লাগে মাত্র আট থেকে দশ মিনিট।
একই প্রদেশের ছং চি হুয়ে কাউন্টিতে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১১ টি নতুন গরুর খামার। প্রদেশের এসব খামার থেকে প্রতিদিন অন্তত ১ হাজার টন দুধ প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
গরু ও উটের দুধ জীবাণুমুক্ত করা এবং স্বাস্থ্যকরভাবে প্যাকেজিংয়ের মতো একাধিক পদ্ধতির পরই তা দেশব্যাপী বিক্রি করা হয়।
শিনচিয়াং ব্যুরোর পশুপালনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই অঞ্চলে বার্ষিক দেড় মিলিয়ন টন দুধ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানকার দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র বাড়িয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদন: আফরিন মিম
সম্পাদনা: সাজিদ রাজু