বাংলা

চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-১৯: সাংহাই কফি কালচার উইকে কফি-প্রেমিদের দারূণ সাড়া

CMGPublished: 2023-06-03 19:23:21
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনের মেগাসিটি সাংহাইয়ে কফি শপ রয়েছে ৮ হাজারের বেশি! অবিশ্বাস্য এ সংখ্যা বলে দেয় সেখানে কতটা প্রসার ঘটেছে কফি কালচারের।

কফি প্রেমিদের শহর সাংহাইয়ে সদ্য শেষ হয়েছে সাংহাই কফি কালচার উইক-২০২৩। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ কফি-মেলা দারূণ সাড়া ফেলে চীনা নাগরিক এবং বিদেশি পর্যটকদের মাঝে।

হুয়াংপু নদীর পশ্চিম তীরে নগরীর ল্যান্ডমার্ক এলাকা সাংহাই বান্ড বা ওয়েইতানে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত স্থানে হলো এমন আয়োজন।

চীনের নিজস্ব এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১০০টি’র বেশি কফিব্র্যান্ড এ মেলায় সামিল হয়। সঙ্গতকারণেই কফি-মেলা দারূণ সাড়া ফেলে সাংহাইয়ের বাসিন্দা, চীনের অন্যান্য স্থান এবং বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের মাঝে।

চীনাসহ বিভিন্ন দেশের খাবারের সমারোহ, খেলাধুলা আর পোষাপ্রাণীর উপস্থিতি কফি-মেলায় বৈচিত্র এনেছে। ২ জুন শেষ হয় এ মেলা।

২. চীনা অনলাইন সাহিত্যের এশীয় পাঠক ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে

এশিয়ায় চীনা অনলাইন সাহিত্যের পাঠক সংখ্যা ১০০ মিলিয়নের ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে বড় হচ্ছে চীনা অনলাইন সাহিত্যের বাজার।

পূর্ব চীনের চ্যচিয়াং প্রদেশের হাংচৌতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ২০২৩ চায়না ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন লিটারেচার উইকে এ তথ্য জানায় চায়না রাইটার্স এসোসিয়েশন।

লেখক সমিতির প্রতিবেদন বলছে, পাঠকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় হচ্ছে এর বাজারও। ২০২২ সালে চীনের অনলাইন সাহিত্যের বিদেশি বাজার ৩ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে এশিয়ার হিস্যা ১.৬ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৫৫ শতাংশ। আর বিশ্ববাজারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অংশ ৩৮ শতাংশ এবং এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের হিস্যা ১৭ শতাংশ।

লেখক সমিতির সচিব হু বাংসেং জানান, ‘আমরা সার্বিক একটা পরিকল্পনা করবো এবং অনলাইন সক্ষমতা বাড়াবো। চীনা সভ্যতার প্রসারে চীনা মূল্যবোধ ধারণ করে এমন পরিশীলিত সাহিত্যকে আমরা আরও বেশি করে অনলাইনে নিয়ে যাবো’।

৩. অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমরা চীনা বই প্রকাশ করছি: সৈয়দ জাকির হোসাইন

সৈয়দ জাকির হোসাইন

গত ৪ মে রাজধানী ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ‘সিএমজির নতুন অগ্রযাত্রা: চীনা বই প্রকাশ’ শীর্ষক এক ব্যতিক্রমী গোলটেবিল বৈঠক। চীন বিষয়ক বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের সাংস্কৃতি কাউন্সিলর ইউয়ে লি ওয়েন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা। বেইজিং থেকে অনলাইনে যুক্ত হন সিএমজি বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দি।

রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘সিএমজির অগ্রযাত্রা: চীনা বই প্রকাশ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক।

অনুষ্ঠানে অন্য অতিথি ও আলোচকদের পাশাপাশি চীন বিষয়ক বই প্রকাশের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের নামী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এডর্ন পাবলিকেশনের প্রকাশক, প্রধান সম্পাদক ও সিইও সৈয়দ জাকির হোসাইন। বললেন, প্রকাশক হতে গিয়েই চীন সম্পর্কে তার আগ্রহ তৈরি হয়।

বাংলাদেশে চীন বিষয়ক বই প্রকাশ স্থানীয় উৎসাহ আর উদ্যোগে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চীন বিষয়ক বই প্রকাশ করতে হয় বলে জানালেন এই প্রকাশক।

এডর্ন থেকে কনফুসিয়াসের শিক্ষা দর্শন নিয়ে শিগগির একটি বই প্রকাশের সুখবর দিলেন সৈয়দ জাকির হোসাইন।

------------------------------------------------------------------------------

প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: রওজায়ে জাবিদা ঐশী, মাহমুদ হাশিম

অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ, রফিক বিপুল

প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম

সার্বিক তত্ত্বাবধানে: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn