আপন আলোয়- ৯৯
আপন আলোয় এ পর্বে অতিথি শব্দসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী।
‘চুরি’ করা ট্রান্সমিটার দিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতারের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করি: রেজাউল করিম চৌধুরী
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ১০ বরেণ্য ব্যক্তিত্বের অন্যতম তিনি। বেতার কেন্দ্রের কারিগরি পরিচালক ছিলেন তিনি।
কারিগরি দায়িত্বের পাশাপাশি ঘোষক, সংবাদ সংগ্রহ ও পাঠ, কথিকা লেখা ও পাঠের কাজও করেছেন।
২৬ মার্চ, ১৯৭১ চট্টগ্রামের কালুর ঘাঁটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূচনা লগ্ন থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হন রেজাউল করিম। পরে ৩ এপ্রিল ১৯৭১ তিনিসহ ১০ শব্দসৈনিক ভারতে ত্রিপুরার বগাফায় গহীন অরণ্যে ১ কিলোওয়াট মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটার স্থাপন করেন। ২২ মে তিনি কলকাতার বালিগঞ্জে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন।
আপন আলোয় অনুষ্ঠানে অন্তরঙ্গ আলাপনে মাহমুদ হাশিমের মুখোমুখি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কারিগরি পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অনন্য এ ভূমিকার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক ও বাংলাদেশ বেতারের হীরক জয়ন্তী সম্মাননায় ভূষিত হন। এবার রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বোমাবর্ষণের মুখে জীবনবাজি রেখে কালুরঘাট থেকে ট্রান্সমিটার 'চুরি' করে ত্রিপুরার বগাফায় গহীন অরণ্য থেকে বেতার সম্প্রচারের অভাবনীয় সব গল্প।
--------------------------------------------------------------------------------------
সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম
অডিও সম্পাদনা: মাহমুদ হাশিম/রফিক বিপুল।