চাঁদপুরের প্রতিভাময়ী নবীন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পূরবী দে সিমন্তি
আপন আলোয় ৯৭তম পর্বে অতিথি প্রতিভাময়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পূরবী দে সিমন্তি
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ৪০তম সম্মেলনে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ বিভাগে ‘অনন্য মান’ অর্জন করে জাহিদুর রহিম স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেছেন সিমন্তি। চাঁদপুর থেকে তিনিই প্রথম এ কৃতিত্ব দেখান।
এর আগে সিমন্তি ২০১৫ ও ২০১৭ সালে সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কিশোর বিভাগে প্রথম মানে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসংগীতে প্রথম স্থান লাভ করেন তিনি। এ ছাড়াও সিমন্তি ২০১৭ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসংগীতে শ্রেষ্ঠ বিজয়ীর স্বীকৃতি লাভ করেন।
সিমন্তির সংগীতে হাতেখড়ি বাবা বিমল চন্দ্র দে’র কাছে। পরবর্তীতে স্বপন সেনগুপ্ত, বাবুল চক্রবর্তী, শংকর আচার্যী, সৈকত সাহার কাছে তালিম নেন।
প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেন চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সঙ্গীত নিকেতনে। চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেছেন সিমন্তি।
অন্তরঙ্গ আলাপনে মাহমুদ হাশিমের মুখোমুখি নবীন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পূরবী দে সিমন্তি
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সিমন্তি বলেছেন, চাঁদপুরে সুন্দর গানের পরিবেশে তিনি বড় হয়েছেন। সেখানে অনেক গুণী গুরুজন রয়েছেন এবং সংগীত শিক্ষায় সবসময় তাদের সহযোগিতা পান। সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় অনন্য মান লাভের জন্য তিনি বাবা-মা-দাদা ও গুরুদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
গান গেয়ে সবার ভালোবাসা পেয়েছেন-এটা তার সবচেয়ে বড় পুরস্কার বলে মনে করেন সিমন্তি। সংগীতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ রয়েছে বলেও জানান প্রতিভাময়ী এ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।