বাংলা

আপন আলোয়-৯৫

CMGPublished: 2022-11-18 10:05:19
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব চায়নায় চলছে পেইন্টিং ও ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী

প্রাচীন চীনের চিত্রকলা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বেইজিংয়ের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব চায়নায় চলছে প্রাচীন চীনের ১৭শটি পেইন্টিং ও ক্যালিগ্রাফি নিয়ে এক সমৃদ্ধ প্রদর্শনী। প্রাচীন চীনের শিল্পকলার সংগ্রহ নিয়ে অনেকগুলো খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে একটি বিশাল গ্রন্থ। সেই বই এবং বইয়ের ছবিগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে।

এখানে ২২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের হান রাজবংশের সময়কার নিদর্শন থেকে শুরু করে সুং রাজবংশের সময়কার চিত্রকলা স্থান পেয়েছে। ৯৬০ থেকে ১১২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী উত্তর সুং রাজবংশের সময়কার বিখ্যাত শিল্পী ওয়াং সিমাংয়ের আঁকা ‘এ প্যানোরমা অব রিভারস অ্যান্ড মাউন্টেনস‘পেইন্টিংটির প্রতি দর্শকদের বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।

দক্ষিণ থাং রাজবংশের বিখ্যাত শিল্পী কু হোংচুংয়ের ‘দ্যা নাইট রিভিলস অব হান সিচাই’ শিল্পকর্মটিও বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

এই চিত্রকর্মগুলো কাগজ, সিল্ক, চামড়া, কাপড় ইত্যাদি বিভিন্ন বস্তুর উপর আঁকা হয়েছে। দেয়ালে চিত্রকর্মগুলোর থ্রিডি প্রজেকশনও করা হচ্ছে। চায়নিজ ক্যালিগ্রাফির অনন্য শিল্প নমুনাও এখানে আছে। আরও আছে গ্রোটো ভাস্কর্যের থ্রিডি ইমেজ।

দর্শকরা ঐতিহ্যবাহী চীনা শিল্পকর্ম সম্পর্কে এখানে জানতে পারছেন অনেক তথ্য।

পেইন্টিং ও ক্যালিগ্রাফির পাশাপাশি এখানে ন্যাশনাল মিউজিয়াম ও প্যালেস মিউজিয়ামের যৌথ আয়োজনে ‘হারমোনিয়াস কো এক্সিসটেন্স’ নামে একটি বিশেষ ধরনের প্রদর্শনীও চলছে। এখানে দুই জাদুঘরের সংগ্রহ থেকে প্রাচীন চীনা শিল্পের বিভিন্ন নিদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে। সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, জেড পাথরসহ বিভিন্ন মূল্যবান বস্তুতে তৈরি প্রাচীন চীনা শিল্পকলার নির্দনগুলো চীনা সংস্কৃতি ও ইতিাসের অনেক তথ্য তুলে ধরছে।

চিত্রকলার পাশাপাশি পোর্সেলিন ও অন্যান্য শিল্প সামগ্রীর প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাচীন চীনের জীবন দর্শন, শান্তিময় দর্শন এবং সংস্কৃতির পরিচয় পাচ্ছেন দর্শকরা।

অন্তরঙ্গ আলাপন

চাঁদপুরের মানুষ সংস্কৃতিমনস্ক ও অসাম্প্রদায়িক: রূপালী চম্পক

আপন আলোয় এ পর্বে অতিথি নজরুল সংগীত শিল্পী, প্রশিক্ষক ও সংগঠক রূপালী চম্পক

নজরুলসংগীত শিল্পী, প্রশিক্ষক ও সংগঠক রূপালী চম্পক। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে নজরুল ও আধুনিক গানে তালিকাভুক্ত সিনিয়র শিল্পী তিনি। লোকসংগীতেও তিনি সমান স্বচ্ছন্দ।

চাঁদপুরের সপ্তসুর সংগীত একাডেমীর অধ্যক্ষ রূপালী চম্পক। নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ, চাঁদপুর শাখার সভাপতি তিনি। দায়িত্ব পালন করছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, চাঁদপুর শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে।

সংগীতসহ বিভিন্ন বিষয়ে পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন রূপালী চম্পক। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা ২০১৬, ইন্দিরাগান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সম্মাননাসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।

আপন আলোয় অনুষ্ঠানে মাহমুদ হাশিমের মুখোমুখি নজরুল সংগীত শিল্পী রূপালী চম্পক

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রূপালী চম্পক বলেছেন তাঁর দীর্ঘ পাঁচ দশকের সংগীত সাধনা নিয়ে। জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে (যাকে তিনি মনেপ্রাণে গুরু বলে মানেন) গান শোনাতে পারা তাঁর জীবনের এক পরম পাওয়া বলে মনে করেন তিনি।

রবীন্দ্র-নজরুলসহ পঞ্চকবির গান, দেশাত্মবোধক ও গণসংগীতে চাঁদপুরের নবীন প্রজন্মের আগ্রহ রয়েছে বলে গভীর সন্তোষ তাঁর। চাঁদপুরের মানুষ সংস্কৃতিমনস্ক এবং চাঁদপুর একটি অসাম্প্রদায়িক শহর বলেও গৌরব করেন রূপালী চম্পক। নিজের জানাটুকু উজাড় করে দেওয়া এবং চাঁদপুরের নবীনশিল্পীদের জন্য ভালো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা তাঁর স্বপ্ন।

সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।

পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।

অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম

প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া।

অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn