আপন আলোয়-৯৪
আপন আলোয় এ পর্বে অতিথি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, প্রশিক্ষক ও সংগঠক দুলাল পোদ্দার
চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য
সিচুয়ান প্রদেশের ছিয়াং জাতির বর্ণিল নববর্ষ উৎসব
ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বাজনার তালে তালে নাচছে মানুষ। দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের ছিয়াং জনগোষ্ঠীর মানুষ তাদের নববর্ষ উৎসবে মেতে উঠেছে।
ছিয়াং জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষ বাস করেন সিচুয়ান ও কুইচোও প্রদেশের উঁচু পর্বতমালায়। তাই তাদের মেঘের দেশের মানুষও বলা হয়। চীনের ৫৬ জাতিগোষ্ঠীর অন্যতম ছিয়াং জাতি তাদের নববর্ষ উৎসব পালন করে চন্দ্র ক্যালেন্ডারের দশম মাসে। শরতের ফসল তোলার পর এই উৎসব হয়।
উৎসবে নৃত্য পরিবেশন ও অন্যান্য রীতিনীতি মেনে দেবতার উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। ভালো ফসলের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খাবার উৎসর্গও করা হয়। ঈগল তাদের অন্যতম প্রতীক। পুরোহিতকে বলা হয় শিবি। মূলত তার নেতৃত্বেই চলে বিভিন্ন রীতিনীতি পালন।
মিয়ানইয়াং সিটির পাইছুয়ান ছিয়াং স্বায়ত্তশাসিত কাউন্টির শিই গ্রামের উৎসবে সম্প্রতি পর্যটকরা উপভোগ করেন বিচিত্র সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
শিবি পুরোহিতের নেতৃত্বে নাচের দল সারা গ্রাম ঘুরে তাদের পবিত্র গাছের কাছে যায়, দেবতার উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য দেয়, প্রকৃতিকে ধন্যবাদ জানায়। তারা মাংকি হ্যাট পরে এবং ঈগলের মাথা আকৃতির লাঠি বহন করে। এ উপলক্ষে নারীরা নানা রকম এমব্রয়ডারি করা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে।
পর্যটকরা অনেকে এই সময় গ্রামে আসেন উৎসব দেখতে। তরুণরা অনেকেই শহরে থাকে জীবিকার তাগিদে। কিন্তু উৎসব উপলক্ষে তারা গ্রামে ফিরে আসে।
চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস বলছে, ২০২১ সালের জরীপ অনুযায়ী বর্তমানে ৩ লাখ ১২ হাজার ৯৮১জন ছিয়াং জাতির মানুষ আছে। তাদের সংস্কৃতিকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ভালো ফসল ও সুস্বাস্থ্য হলো নববর্ষ উৎসবের মূল প্রার্থনা। তারা নানা আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্ভাগ্যকে দূর করতে চায়। এই লোকজ উৎসবে যোগ দিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা আসেন। তারা লোকজ খাদ্য ও সংস্কৃতি উপভোগ করেন।
অন্তরঙ্গ আলাপন
রবীন্দ্রসংগীত ও সুস্থ সংস্কৃতির প্রসারে আমি দায়বদ্ধ: দুলাল পোদ্দার
আপন আলোয় ৯৪তম পর্বে অতিথি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, প্রশিক্ষক ও সংগঠক দুলাল পোদ্দার
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, প্রশিক্ষক ও সংগঠক দুলাল পোদ্দার। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে এ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী তিনি।
চাঁদপুরের মতলবের শোভা সঙ্গীতায়নের পরিচালক ও প্রশিক্ষক এবং জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, মতলব শাখার সভাপতি দুলাল পোদ্দার।
পেশাগত জীবনে মতলবের নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক দুলাল পোদ্দার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত ও ভাষাতত্ত্বে যথাক্রমে স্নাতক ও এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্রসংগীতে কোর্স সম্পন্ন করেন তিনি।
আপন আলোয় অনুষ্ঠানে মাহমুদ হাশিমের মুখোমুখি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী দুলাল পোদ্দার
তাঁর সংগীতগুরুদের মধ্যে রয়েছেন, ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন, নীলোৎপল সাধ্য, সাদী মহম্মদ, সাজেদ আকবর ও সালমা আকবর।
সংগীতে অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সম্মাননা লাভ করেছেন দুলাল পোদ্দার।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মতলবে তাঁর সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে বললেন দুলাল পোদ্দার। রবীন্দ্রসংগীত ও সুস্থ সংস্কৃতির প্রসারে কাজ করতে তিনি দায়বদ্ধ বলে মনে করেন সংগীতজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের আশীর্বাদধন্য এ শিল্পী।
সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া।
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।