বাংলা

আপন আলোয়-৯৩

CMGPublished: 2022-11-05 20:12:23
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এ পর্বে অন্তরঙ্গ আলাপনে অতিথি কবি, সংগঠক ও সমাজকর্মী ডা. মল্লিকা বিশ্বাস

চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য

থাং ডাইনেস্টিতে ফিরে যেতে সুযোগ লুফে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা

ছবি: থাং রাজবংশের সময়কার বিশেষ পোশাকে নাট্যকর্মীরা

চীনের রয়েছে বহু প্রাচীন বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আধুনিককালে এসেও হাজার হাজার বছরের পুরানো সেই ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করেন চীনারা। তাইতো সুযোগ পেলেই শিকড়ের সন্ধ্যানে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে অনুসন্ধিৎসু এসব মানুষের জন্য নেওয়া হয়ে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ।

নিজেদের বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নিয়েছে চীনের হেনান প্রদেশের পর্যটন কর্তৃপক্ষ।

৬১৮ থেকে ৯০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় তিনশ’ বছর চীন শাসন করা থাং রাজবংশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে করা হয়েছে এই আয়োজন। থাং ডাইনেস্টির সময়ে রাজ্য শাসন রীতি দেখার ও উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চীনের ইতিহাসের অন্যতম সফল, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ রাজবংশের একটি থাং রাজবংশের রাজধানী লুও ইয়াং শহরের ন্যাশনাল হেরিটেজ পার্ককে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে পর্যটকরা রাজা, সেনাপতি, মন্ত্রী, উজির কিংবা রাজ্যের বড় বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে গুরুত্বপূর্ণ সব রাজকীয় কাজ-কর্মে অংশ নিতে পারবেন। একইসাথে রাজার সাথে বসে উপভোগ করতে পারবেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ছবি: আনন্দচিত্তে বিশেষ এই আয়োজন উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা

পর্যটকদের সামনে থাং ডায়নেস্টির সময়কার আবহ তৈরি করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শতাধিক নাট্যকর্মীর অংশগ্রহণে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে রাজা-রানি, সেনাপতি, মন্ত্রী, উজিরসহ একাধিক চরিত্র।

বিশেষ এই আয়োজন উপভোগ করতে হলে পর্যটকদের শুধু টিকেট কাটলেই হবে না, বরং বিশেষ কস্টিউম পরে রাজ্যের একজন সদস্য হিসেবে অংশ নিতে হবে পর্যটকদেরও।

মূলত এই আয়োজনে সম্পৃক্ত করতেই দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণমূলক পর্ব রাখা হয়। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে দারুণ খুশি পর্যটকরাও।

থাং রাজবংশের মূল আবহ তুলে ধরতে সে-সময়কার শাসন, সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং ঐতিহাসিক বিষয়গুলো নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিস্তর গবেষণা করেন ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা।

স্বাভাবিক কারণেই খুব সময়ের মধ্যে পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এ উদ্যোগ। ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে পর্যটক টানতে এ উদ্যোগ নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

অন্তরঙ্গ আলাপন

কুমিল্লায় সকল সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেই এখন দর্শক-শ্রোতার আকাল: ডা. মল্লিকা বিশ্বাস

ছবি: আপন আলোয় ৯৩তম পর্বে অতিথি কবি, সংগঠক ও সমাজকর্মী ডা. মল্লিকা বিশ্বাস

কবি, সংগঠক ও সমাজকর্মী ডা. মল্লিকা বিশ্বাস। কুমিল্লার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব তিনি। সংস্কৃতি ও সমাজকর্মী হিসেবে, চিকিৎসক হিসেবে মল্লিকা বিশ্বাস তিন দশক ধরে ব্রতী রয়েছেন মানবসেবায়। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা শাখার সভাপতি হিসেবে।

৬টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে কবি মল্লিকা বিশ্বাসের

রবীন্দ্রসাহিত্য ও সংগীত বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন মল্লিকা বিশ্বাস। এ পর্যন্ত তাঁর ৬টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক নারী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইনার হুইল ডিস্ট্রিক-৩৪৫ বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মল্লিকা বিশ্বাস। পেশাগত জীবনে একজন চিকিৎসক ও সনোলজিস্ট হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত তিনি।

কাব্যকৃতি ও সমাজসেবার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি রোটারি ইন্টারন্যাশনালের পল হ্যারিস ফেলো সম্মাননা ও কোভিড-১৯ হিরো পুরস্কার এবং পদক্ষেপ বাংলাদেশের বর্ষপূর্তি সম্মাননা ২০২০ লাভ করেন।

আপন আলোয় অনুষ্ঠানে মাহমুদ হাশিমের মুখোমুখি ডা. মল্লিকা বিশ্বাস

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন, কুমিল্লার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের হালফিল অবস্থা নিয়ে। শুধু নাটক নয়, কুমিল্লার সকল সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে দর্শক-শ্রোতার আকাল বলে অভিমত তাঁর। বলেছেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিষদ কুমিল্লা শাখাসহ তাঁর বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে।

নৃত্য-সংগীত দুটি ধারাকে মিলিয়ে সম্মিলন পরিষদের নতুন নেতৃত্ব সংগঠনের কার্যক্রমে আরও প্রাণ সঞ্চার করবেন- এমন প্রত্যাশা মল্লিকা বিশ্বাসের।

সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।

পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।

অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম

প্রতিবেদন ও অনুষ্ঠানের অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn