বাংলা

থাং ডাইনেস্টিতে ফিরে যেতে সুযোগ লুফে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা

cmgPublished: 2022-11-04 17:56:12
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ছবি: থাং রাজবংশের সময়কার বিশেষ পোশাকে নাট্যকর্মীরা।

চীনের রয়েছে বহু প্রাচীন বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আধুনিককালে এসেও হাজার হাজার বছরের পুরানো সেই ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করেন চীনারা। তাইতো সুযোগ পেলেই শিকড়ের সন্ধ্যানে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে অনুসন্ধিৎসু এসব মানুষের জন্য নেওয়া হয়ে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ।

নিজেদের বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নিয়েছে চীনের হেনান প্রদেশের পর্যটন কর্তৃপক্ষ।

৬১৮ থেকে ৯০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় তিনশ’ বছর চীন শাসন করা থাং রাজবংশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে করা হয়েছে এই আয়োজন। থাং ডাইনেস্টির সময়ে রাজ্য শাসন রীতি দেখার ও উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চীনের ইতিহাসের অন্যতম সফল, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ রাজবংশের একটি থাং রাজবংশের রাজধানী লুও ইয়াং শহরের ন্যাশনাল হেরিটেজ পার্ককে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে পর্যটকরা রাজা, সেনাপতি, মন্ত্রী, উজির কিংবা রাজ্যের বড় বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে গুরুত্বপূর্ণ সব রাজকীয় কাজ-কর্মে অংশ নিতে পারবেন। একইসাথে রাজার সাথে বসে উপভোগ করতে পারবেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ছবি: আনন্দচিত্তে বিশেষ এই আয়োজন উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা।

পর্যটকদের সামনে থাং ডায়নেস্টির সময়কার আবহ তৈরি করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শতাধিক নাট্যকর্মীর অংশগ্রহণে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে রাজা-রানি, সেনাপতি, মন্ত্রী, উজিরসহ একাধিক চরিত্র।

বিশেষ এই আয়োজন উপভোগ করতে হলে পর্যটকদের শুধু টিকেট কাটলেই হবে না, বরং বিশেষ কস্টিউম পরে রাজ্যের একজন সদস্য হিসেবে অংশ নিতে হবে পর্যটকদেরও।

মূলত এই আয়োজনে সম্পৃক্ত করতেই দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণমূলক পর্ব রাখা হয়। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে দারুণ খুশি পর্যটকরাও।

থাং রাজবংশের মূল আবহ তুলে ধরতে সে-সময়কার শাসন, সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং ঐতিহাসিক বিষয়গুলো নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিস্তর গবেষণা করেন ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা।

স্বাভাবিক কারণেই খুব সময়ের মধ্যে পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এ উদ্যোগ। ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে পর্যটক টানতে এ উদ্যোগ নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবেদন ও অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn