আপন আলোয়-৯১
এ পর্বে অন্তরঙ্গ আলাপনে অতিথি খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী, নৃত্যশিক্ষক ও কোরিওগ্রাফার শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়
চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য
ফুচিয়ানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কুলংইয়ু পিয়ানো আর্ট সপ্তাহ
সাধারণত গানের কনসার্টের আয়োজন সবজায়গায়েই বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু পিয়ানোর মতো এমন আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের আয়োজন সচরাচর দেখা যায় না।
পূর্ব চীনের ফুচিয়ান প্রদেশে গেল সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১ তম কুলংইয়ু পিয়ানো আর্ট সপ্তাহ। জাতীয় দিবসের ৭ দিনের ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাতে এই লম্বা ছুটিটাকে বাণিজ্যিকভাবেও কাজে লাগানো যায়।
কিছু আধুনিক উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মতো গানের লাইনও এতে যুক্ত করা হয়। উদ্বোধনী কনসার্টে পিয়ানোবাদক ঠেনর শি ইয়িচি, মেজ্জো-সোপ্রানো লিয়াং নিং এবং শাহ চোহান বিন শাহরিতচুয়ান এবং সিয়ামেন ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রা সহ বেশ কয়েকজন বিখ্যাত শিল্পী উপস্থিত ছিলেন।
পিয়ানো আর্ট সপ্তাহের অংশ হিসেবে, কুলংইয়ু দ্বীপ জুড়ে অস্থায়ীভাবে বসানো হয় ৩০টি পিয়ানো। এসব উন্মুক্ত বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বাদকদের পাশাপাশি সঙ্গীতজ্ঞরাও অংশ গ্রহণ করেন। এমন পরিবেশনা দর্শকদের দেয় এক প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি।
চিরায়ত চীনা সাহিত্য
প্রেমের কবি শেন ইয়ুয়ে
প্রাচীন চীনের একজন বিখ্যাত কবি, সংগীতজ্ঞ, ইতিহাসবিদ এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন শেন ইয়ুয়ে। তার আরেকটি নাম সিউওয়েন। তিনি লিউ সং রাজবংশ, দক্ষিণ ছি রাজবংশ এবং লিয়াং রাজবংশের সম্রাটদের অধীনে দরবারে কাজ করেছেন। শেন ইয়ুয়ের জন্ম ৪৪১ এবং মৃত্যু ৫১৩ খ্রিস্টাব্দে।
লিয়াং রাজবংশের সময়কার বিখ্যাত বিদ্যান ছিলেন শেন ইয়ুয়ে। তিনি প্রথম গানের একটি সুর কাঠামো নির্ধারণ এবং সংগীতের শ্রেণীবিভাগ করেন। তিনি সংগীত বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান ছিলেন।
শেন ইয়ুয়ে প্রেমের কবিতার জন্য বিখ্যাত। তিনি প্রাচীনকালে প্রচলিত কবিতার সংগ্রাহকও ছিলেন। ফলে তার কাছ থেকে চীনের লোক সংগীত ও কবিতারও পরিচয় পাওয়া যায়। হান রাজবংশের সময়কার গীতিকবিতা ও বীরগাঁথা ধরনের কবিতাকে তিনি প্রথম ইয়ুয়েফু নামে বিশেষায়িত করেন।
শেন ইয়ুয়ে দরবারের প্রভাবশালী রাজনীতিক ছিলেন। সেজন্য অনেক সময় বিতর্কিতও হয়েছিলেন। তাকে একজন রাজপুত্র সিয়াও বাওরোংয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী মনে করা হতো। শেন ইয়ুয়ে সম্রাট উকে পরামর্শ দিয়েছিলেন অন্য রাজবংশের রাজপুত্র সিয়াও বাওরোংকে খুব বেশি বিশ্বাস করে বিপদ না ডাকার জন্য। এই কথার পর সম্রাট সিয়াওকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
একবার অসুস্থ অবস্থায় শেন ইয়ুয়ে মৃত সিয়াওকে স্বপ্নে দেখেন। পরে তিনি পুরোহিতের মাধ্যমে সিয়াওর প্রেতাত্মার কাছে সংবাদ পাঠান যেন মৃত্যুর জন্য তাকে দোষী মনে না করা হয়।
শেন ইয়ুয়ে তার তীুব্র প্রেমের কবিতাগুলোর জন্য চিরায়ত চীনা সাহিত্যে অমরত্ব পেয়েছেন।
তার একটি বিখ্যাত কবিতা হলো ওয়াং সিইউয়ানের চাঁদ বিষয়ক কবিতার উত্তর
‘প্রস্ফুটিত চাঁদ দেখছে স্থির রাত্রিকে
আগ্রাসী ধূলিকে মুছে দিচ্ছে নিষ্কম্প রাত
চারকোণা স্তম্ভের পাশে বন্ধ দরজা
ফাটল দিয়ে আসা আলোতে তৈরি হচ্ছে গোলাকার ছায়া
সুউচ্চ টাওয়ারে বধূ আকুলভাবে প্রতীক্ষারত
লুকোনো প্রকোষ্ঠে এখনো হয়নি ভোর
সেই বিশুদ্ধ আলোকরশ্মি
আর কতদূরে তারা।’
শেন ইউয়ানের প্রেমের কবিতা চিরায়ত চীনা সাহিত্যে একেবারেই স্বতন্ত্র অবস্থানে রয়েছে তার কামনাময় প্রেমের উপস্থাপন ও মর্মান্তিক বিরহ চিত্রের জন্য।
অন্তরঙ্গ আলাপন
সংস্কৃতির আলো শিক্ষাতে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাবো আমরা: শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: আপন আলোয় ৯১তম পর্বের অতিথি খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী, নৃত্যশিক্ষক ও কোরিওগ্রাফার শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়
এক.
অনেকে এবার আমার কাছে প্রস্তাবও দিয়েছে যে, আপনি নাচটাকে একটু শক্তহাতে ধরেন- বিশেষ করে আমাদের লোকনৃত্য নিয়ে একটু কাজ করেন। সারা বাংলাদেশে নাচের প্রচার-প্রসারটা যেন অনেক বেশি হয়।
শুধু নাচ কেন? আমার মনে হয়, সম্মিলন পরিষদে আমরা নাচ-গান, আবৃত্তি, নাটক কিংবা নানা রকম পাঠের যে ব্যাপারগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি।
দুই.
আমাদের (রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদে) একটা সম্পাদকমণ্ডলী আছে। একজন সাধারণ সম্পাদক আর ৭ জন সম্পাদক। আমরা সবাই মিলে কাজ করছি দীর্ঘদিন ধরে। তা আমার শুধু মনে হচ্ছে আমার পদটা পরিবর্তন হয়েছে- সাধারণ সম্পাদক- কাজের ক্ষেত্র তো একই থাকছে।
আমরা সবাই মিলে সনজীদা আপা, আতিউর ভাই, সারোয়ার আলী, মফিদুল ভাই- ওনাদের নির্দেশনায় আমরা কাজগুলো করে যাচ্ছি, ওনাদের চিন্তাধারাটুকু নিয়ে। তো আমরা সেভাবেই কাজটা করে যাবো সংস্কৃতির আলোটা আমরা যাতে শিক্ষাতে ছড়িয়ে দিতে পারি।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের নৃত্যভাবনা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে বললেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বরেণ্য নৃত্যশিল্পী, নৃত্যশিক্ষক ও কোরিওগ্রাফার শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া ও রওজায়ে জাবিদা ঐশী।
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।