প্রান্তিক অঞ্চলে একটি আবৃত্তি একাডেমি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি: কাজী মাহতাব সুমন
প্রান্তিক অঞ্চলে একটি আবৃত্তি একাডেমি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি: কাজী মাহতাব সুমন
আপন আলোয়- ৮৬তম পর্বের অতিথি আবৃত্তিশিল্পী, প্রশিক্ষক ও নির্দেশক কাজী মাহতাব সুমন
এক.
কুমিল্লার একটা বিরাট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে। বৃহত্তর কুমিল্লা জনপদে বাংলা সংগীতের একজন কিংবদন্তী শচীন দেব বর্মণ- শচীন কর্তার জন্ম। বৃহত্তর কুমিল্লার নবীনগরে- ব্রাহ্মণাবাড়ীয়ায় পড়েছে এখন- সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, আয়েত আলী খাঁ- এদের চর্চার ধারাবাহিকতায় এ জনপদের সংস্কৃতি চর্চা যে জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল- আমি মনে করি এখন ওই জায়গায় নেই।
তবে সার্বিকভাবে কুমিল্লায় সাংগঠনিক চর্চার অবস্থা খুব ভালো। ৩০ বছর আগে আমরা শুরু করেছিলাম আবৃত্তি সংসদ। তারই ধারাবাহিকতায় এখন ১৪টি আবৃত্তি সংগঠন কুমিল্লায় নিয়মিত কাজ করছে। কুমিল্লায় নজরুল ইনস্টিটিউটের শাখা আছে। সেখানে নিয়মিত চর্চা হয়। পাশাপাশি নাটক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়গুলোতে ধারাবিহক চর্চা হচ্ছে। বিশেষ করে কুমিল্লায় নতুন প্রজন্মের মধ্যে, শিশু-কিশোরদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চর্চাটা ব্যাপকভাবেই হচ্ছে।
দুই.
৯২তে সাংগঠনিক চর্চা শুরুর পরপরই আমি চলে যাই উপজেলায়- এখনকার চাঁদপুর জেলার একটা উপজেলা মতলবে। সেখানে দুটি সংগঠন হয়- সনক ও কবিতাঙ্গন। দুটোর শুরু থেকেই আমি আছি। এখন চাঁদপুরের আবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করে ওই দুটি আবৃত্তি সংগঠন।
ছবি: আপন আলোয় অনুষ্ঠানে মাহমুদ হাশিমের মুখোমুখি আবৃত্তিজন কাজী মাহতাব সুমন
২০০৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় শুরু হয় তিতাস আবৃত্তি সংগঠন। এটারও শুরু থেকে আমি ছিলাম। এ সংগঠনটি এখন শুধু আবৃত্তি নয়, ব্রহ্মণবাড়ীয়ার পুরো সংস্কৃতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সিলেটের উর্বশী আবৃত্তি পরিষদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাভৈঃ, নোয়াখালী আবৃত্তি একাডেমী- এ সবগুলো সঙ্গেই শুরু থেকেই আমি রয়েছি।