স্কুল-কলেজে সংগীতে বেসিক এডুকেশন দরকার: ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম
আপন আলোয় ৮২তম পর্বে অতিথি শাস্ত্রীয় বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম
এক.
চট্টগ্রামে আর্যসঙ্গীতসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা হচ্ছে। বাঁশিও শিখছে। আর্টিস্ট বেরুচ্ছে। কিন্তু অনুষ্ঠান কম। ক্লাসিক্যাল মিউজিক- যন্ত্রসংগীত বা ভোকাল- পৃষ্ঠপোষকতা নেই। প্রোগ্রাম করে চলার মতো অবস্থা নেই। সে ধরনের অবস্থা আমাদের দেশে এখনো হয়নি। কবে হবে বলা মুশকিল।
দুই.
আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় সংগীতের শ্রোতা খুবই কম। শ্রোতা একদিনে তৈরি হয় না। এ জন্য আমাদের দেশে গত ৫০ বছরে সরকারি পর্যায়ে, শিল্পকলা একাডেমি বলেন, সুধীজন বলেন কেউ কাজ করেনি। ক্লাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে হাতে গোনা যে কটি সংগঠন কাজ করেছে তাদের মধ্যে প্রথম কাতারে শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসার গোষ্ঠী। ওনারা বহু বছর ধরে কাজ করছেন। আমি এটা নির্দ্বিধায় বলতে পারি বাংলাদেশে যত গুণী ক্লাসিক্যাল মিউজিকের আর্টিস্ট সবাই তাদের ব্যানারে প্রোগ্রাম করেছেন। ছোট সংগঠন হলেও ক্লাসিক্যাল মিউজিকের প্রসারে তারা বড় কাজ করেছেন।
ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে একুশে sপদক গ্রহণ করছেন শাস্ত্রীয় বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম
তিন.
অনেক সুধীজনও ক্লাসিক্যাল আর লাইভ মিউজিকের পার্থক্যটা বোঝেন না। এটা জরুরি নয় যে আপনাকে সংগীত শিখতেই হবে। স্কুল-কলেজে সংগীতে একটা বেসিক এডুকেশন দেওয়া দরকার। ক্লাসিক্যাল মিউজিক কী? লাইভ মিউজিক কী? সংগীতটা কী? সংগীতটাকে কোর্স হিসেবে নিয়ে কিছু শিখানো। সবাই আর্টিস্ট হবে তা না- ভালো শ্রোতা তো হয়ে উঠবে।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে শাস্ত্রীয় সংগীত চর্চা- বিশেষ করে যন্ত্রসংগীত ও বাঁশি শিক্ষা প্রসঙ্গে বললেন একুশে পদক প্রাপ্ত শাস্ত্রীয় বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম। পৃষ্ঠপোষকতা ও বোদ্ধা-শ্রোতার অভাবে দেশে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রসার ঘটছে না বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সংগীত শিক্ষা কোর্স চালু করার পরামর্শ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ বাঁশরিয়ার।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম।
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।