নজরুল আর উচ্চাঙ্গসংগীতে এগিয়ে চট্টগ্রাম: জয়ন্তী লালা
ছবি: শিল্পী জয়ন্তী লালা।
এক.
শুধু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নয়, একসময় চট্টগ্রামে বিভিন্নজনের বাসায়ও উচ্চাঙ্গসংগীতের অনুষ্ঠান হতো। আস্তে আস্তে এগুলো স্তিমিত হয়ে গেছে। এখন সেরকমটা হয় না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন এটি করছে- যেমন, রক্তকরবী করছে, আমাদের আর্যসঙ্গীত হোলনাইট-সারারাতব্যাপী করছে। ঐতিহ্যিক ধারাটা এখনো বহমান রয়েছে।
দুই.
নজরুল চর্চা চট্টগ্রামে ভালো হচ্ছে। নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে আদিসুরের যে গানগুলো প্রচার করা হচ্ছে সে গানগুলো আমি শিখাচ্ছি আর্যসঙ্গীতে, আমার সংস্থাতে, ব্যক্তিগতভাবেও আমি শিখাচ্ছি। বলতে হবে নজরুলের বেশ প্রচার আমাদের চট্টগ্রামে; এখানে কোনো দ্বিমত নেই। চট্টগ্রামে নজরুল এবং উচ্চাঙ্গসংগীত ভীষণভাবে এগিয়ে।
তিন.
যতদিন সুস্থ থাকবো নজরুলের চর্চা করবো। আদি যে রেকর্ডগুলো আছে সে গানগুলো আমার স্টুডেন্টদের শেখাবো- এটুকুন বলতে পারি। পরিবার থেকে না হলেও আমার স্টুডেন্টরা আমার পরম্পরা ধরে রাখবে।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের সংগীত জীবন ও চট্টগ্রামে নজরুল চর্চা বিষয়ে বললেন বরেণ্য নজরুলসংগীত শিল্পী ও শিক্ষক, বাংলাদেশ নজরুলসংগীত শিল্পী সংস্থা- চট্টগ্রামের সভাপতি জয়ন্তী লালা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ শব্দসৈনিক স্মৃতিচারণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে তাদের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের। শুনিয়েছেন সে সময়কার কিছু কালজয়ী গান। আর নজরুল সংগীত তো বটেই!
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম।
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।