চট্টগ্রামেও জাতীয় মানের শিল্পী আছেন, নিয়মিত সংস্কৃতি চর্চা হচ্ছে এখানে: মিলি চৌধুরী
শিশুদের জন্য চমৎকার একটি সংগঠন গড়ার স্বপ্ন দেখেন শিল্পী মিলি চৌধুরী
এক. আমি খুব গর্বিত হই যখন আমার নামের পাশে মিলি চৌধুরী, চট্টগ্রাম লেখা হয়। আমি যদি (বিদেশে) বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করি, তখনও আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি- পাশাপাশি চট্টগ্রাম- এ কথাটা বলতে চাই। এটাকে আমি ওন করি, এটাকে আমি ভালোবাসি।
দুই. এখন তো ইন্টারনেটের সময়, গ্লোবালাইজেশনের সময়। এখন আসলে ঢাকা, চট্টগ্রাম বলে কিছু নেই। তবুও একটা বেসিক পার্থক্য তো রয়েই গেছে। চট্টগ্রামের অনেক শিল্পী দ্রুত জাতীয় পরিচিতি পেতে পারতেন। এখান থেকে যারা ঢাকায় গিয়ে কাজ করেছেন আজকে তারা জাতীয় শিল্পী হয়েছেন। চট্টগ্রামে ওই মানের শিল্পী আরও আছেন। সবচেয়ে বড় কথা চট্টগ্রামে নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চা হচ্ছে।
ছবি: শিল্পী মিলি চৌধুরী
তিন. চট্টগ্রামের আরেকটি দুর্বল দিক আছে- ধরুন ঢাকা থেকে কোনো পারফরমার এলেন, তখন কিন্তু চট্টগ্রামের শিল্পীদের আঞ্চলিক শিল্পী হিসেবে দেখা হচ্ছে- এ দুর্বলতা আমাদের। শুধু আবৃত্তি কেন? আজকে আপনি একুশে পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখেন- চট্টগ্রাম থেকে কতজন একুশে পদক পাচ্ছেন? কতজন স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন? কতজন বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন?
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের আবৃত্তিভাবনা, রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরীর আবৃত্তি তথা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মিল-অমিল নিয়ে বললেন চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী, প্রশিক্ষক ও উপস্থাপক মিলি চৌধুরী। বললেন শিশুদের জন্য চমৎকার একটি সংগঠন গড়বার স্বপ্নের কথা। শুনিয়েছেন অসাধারণ কয়েকটি আবৃত্তি।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম।
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।