বাংলা

বইমেলার জন্য স্থায়ী অবকাঠামো দরকার: মুহম্মদ নূরুল হুদা

cmgPublished: 2022-02-25 20:07:50
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এক. বইমেলা আয়োজন বাংলা একাডেমির কাজ নয়- যারা বলেন, তারা বিষয়টি না জেনেই বলেন। সরকারের করে দেওয়া আইনে বাংলা একাডেমির নির্ধারিত কাজের অন্যতম বইমেলা আয়োজন। এটা বাংলা একাডেমির ঐতিহ্যেরও একটা ব্যাপার। তবে এটি একটি সামগ্রিক উদ্যোগ- আর এর কেন্দ্রে বাংলা একাডেমি। যতদিন বইমেলা থাকবে বাংলা একাডেমির সঙ্গে তার সংযোগ থাকবেই। আর সুষ্ঠুভাবে মেলা আয়োজনের জন্য একটি স্থায়ী অবকাঠামো ও স্থায়ী কার্যালয় দরকার বলে আমি মনে করি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করবো।

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপনে মুহম্মদ নূরুল হুদা। ছবি: তানজিদ বসুনিয়া

দুই. আমার বড়ো চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বাংলা একাডেমিতে যে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে মানবসম্পদের সঙ্কট রয়েছে সেটা পূরণ করা। বিশেষ করে জ্ঞানচর্চার জন্য যে ধরনের জনবল দরকার, নবীন প্রজন্মের যাদের নেওয়া দরকার তাদেরক এখনো আমরা নিতে পারিনি। এটা একটা বড় বিষয়।

বাংলা একাডেমির ৮টি বিভাগ এবং প্রত্যেক বিভাগের অনেক উপবিভাগ রয়েছে- সেগুলোও এক একটা বিভাগের মতো। সেখানে কাজ করার আছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে যায় অনুবাদের বিষয়। বাংলা ভাষায় বাইরের বহুকিছু অনুবাদ হয়েছে। কিন্তু বাংলাসাহিত্য অনুবাদ হয়ে বাইরে গেছে কম। আমাদের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য অনুবাদ করে বাইরে ছড়িয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়টিতে আমরা বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি।

এ ছাড়া ফোকলোর, ভাষাতত্ত্ব, বাংলা বানান সংস্কার এবং বঙ্গবন্ধু বিষয়ক চর্চায়ও জোর দিচ্ছি আমরা।

তিন. চীনের যে সমস্ত গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ হয়েছে সেগুলো কিন্তু মূলত ট্রানজিট ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে অর্থাৎ হয় ইংরেজি বা ফারসি মাধ্যমে থেকে হয়েছে। কনফুসিয়াসের ওপর কাজ হয়েছে, আমি নিজেও করেছি। সেটিও কিন্তু ইংরেজি ভাষা থেকে।

আরেকটা কাজ হয়েছে যেটা চীনের গবেষক ও অনুবাদক পাই খাই ইউয়ান-যিনি ভালো বাংলা জানেন। তিনি রবীন্দ্র অনুবাদ করেছেন চীনা ভাষায়, নজরুলের কবিতা অনুবাদ করেছেন। অনুসন্ধান করলে আরও কিছু কাজের সন্ধান আমরা পাবো। প্রাচীন চীনা কবিদের একটা সংকলন নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে বাংলা একাডেমি। তারপরও আমি বলবো এটা একটা ডার্ক এরিয়া।

আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। চীনের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক চুক্তি আছে। সে চুক্তি অনুযায়ী আমরা যদি বাংলা একাডেমির সমপর্যায়ের চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ কোলাবোরেশনে যাই- তাহলে এ কাজটি এগিয়ে যেতে পারে।

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার অমর একুশে বইমেলা ও বাংলা একাডেমির কার্যক্রম নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন একাডেমির মহাপরিচাল মুহম্মদ নূরুল হুদা। জানিয়েছে বাংলা একাডেমিকে ঘিরে তার চ্যালেঞ্জ ও কর্মপরিকল্পনার কথা।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম।

অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn