দেহঘড়ি পর্ব-৬৮
দেহঘড়ি পর্ব-৬৮
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, রোগের প্রাকলক্ষণ নিয়ে আলোচনা ‘উপসর্গে উপলব্ধি’, সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।
#প্রতিবেদন
২ বছর পর বাংলাদেশে সর্বনিম্ন শনাক্ত
প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনায় বাংলাদেশে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা চারজনে নেমেছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল অর্থাৎ ২৫ মাস আগে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন শনাক্ত চারজনসহ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৭ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮৭৯টি ল্যাবরেটরিতে দুই হাজার ২২৬টি নমুনা সংগ্রহ ও নমুনা পরীক্ষা করা হয় দুই হাজার ২১২টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এদিন সারাদেশে কারও মৃত্যু হয়নি। এনিয়ে টানা ১৫ দিন দেশে কোনো করোনা রোগী মারা যায়নি। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭।
এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৫৭ জন। এনিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ লাখ ৯৭ হাজার জনে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
অভি/রহমান
#বুলেটিন
ঈদের মধ্যে আইসিডিডিআর,বিতে কমেছে ডায়রিয়া রোগী
ঈদুল ফিতরের আগে-পরে মিলিয়ে তিন দিনে ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, গেল এপ্রিল মাসের শেষের কয়েকদিনের তুলনায় মে মাসের কয়েকদিনে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে।
আইসিডিডিআর,বির হাসপাতাল প্রধান ডা. বাহারুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, “ঈদের সময় অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কম হতে পারে।”
তবে প্রকৃত কারণ এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের হিসাব অনুযায়ী, ১ মে ৬৩১ জন, ২ মে ৫৫৯ জন, ৩ মে ঈদের দিন ৪২৯ জন এবং ৪ মে ৬৪১ জন ডায়রিয়া নিয়ে আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হন।
আইসিডিডিআর,বিতে এর আগে ৩০ এপ্রিল ৬৬৫ জন, ২৯ এপ্রিল ৭০১ জন, ২৮ এপ্রিল ৮৫০ জন, ২৭ এপ্রিল ৮৩৯ জন, ২৬ এপ্রিল ৯৬২ জন এবং ২৫ এপ্রিল ৯০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমেছে, পাশাপাশি ঈদের সময় অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেছে। এ কারণেও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম হতে পারে।
দুই ডোজের আওতায় ১১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ
বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছে প্রায় ১১ কোটি ৬৪ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার জন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছেন এক কোটি ২৮ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ।