দেহঘড়ি পর্ব-৪০-China Radio International
‘দেহঘড়ি’র এবারের পর্বটি সাজানো হয়েছে কিডনি রোগের নানা দিক নিয়ে; ‘আপনার ডাক্তার’ অংশে থাকছে একজন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার, থাকছে কিডনি সম্পর্কিত ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভূবনে বাস’ এবং কিডনি রোগীদের খাদ্য সম্পর্কিত পরামর্শ ‘কী খাবো, কী খাবো না। পাশাপাশি নিয়মিত আয়োজন হিসাবে থাকছে ‘স্বাস্থ্যখাতের প্রতিবেদন’ ও ‘হেলথ বুলেটিন’।
## প্রতিবেদন
ডেল্টাসহ করোনার ১১ ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর ‘বঙ্গভ্যাক্স’
ডেল্টাসহ করোনাভাইরাসের ১১টি ধরন মোকাবিলা করতে সক্ষম বাংলাদেশে তৈরি ‘বঙ্গভ্যাক্স’টিকা। এমনটাই দাবি করেছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানিয়েছেন, “এ টিকা বানরের উপর বেশ কয়েকবার প্রয়োগ করা হয়েছে। বানরের শরীরে কার্যকর এন্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা থেকে প্রমাণ হয় এটা মানবদেহেও সমান কার্যকর হবে। কারণ বানর আর মানুষের মধ্যে জীনগত মিল অনেক।”
ড. মহিউদ্দিন বলেন, ডেল্টাসহ এখন পর্যন্ত বিশ্বে সক্রিয় করোনাভাইরাসের১১টি ধরনের সিকোয়েন্স পর্যবেক্ষণ করে টিকার সিকোয়েন্স মিলিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি ধরনের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর।
তিনি বলেন, বঙ্গভ্যাক্স টিকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ মাস এবং -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, “গেল ১ আগস্ট থেকে বানরের ওপর শুরু হওয়া এ পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হলে অক্টোবরের শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহেও একইভাবে কাজ করবে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সরকারের অনুমোদন পেলে শিগগিরই বাজারে আসবে এই টিকা।”
গ্লোব বায়োটেকের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রচলিত বেশিরভাগ টিকা ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে বঙ্গভ্যাক্সনতুন মাত্রা যোগ করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেক-আবিষ্কৃত বঙ্গভ্যাক্স টিকাকে কোভিড-১৯ টিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। - অভি/রহমান
##হেল্থ বুলেটিন
টিকা পেতে নিবন্ধন সাড়ে ৫ কোটি
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ৪৮ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩ কোটি ৮৮ লাখ এবং উভয় ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৯৪ লাখ টিকা মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।