দেহঘড়ি পর্ব-৩০-China Radio International
‘দেহঘড়ি’র এ পর্ব আমরা সাজিয়েছি স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’ এবং সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ ।
## প্রতিবেদন
৬ কোটি টিকা উপহার দেবে কোভ্যাক্স, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ২০ কোটি টিকা
বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় প্রায় ৬ কোটি ডোজ করোনার টিকা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরের আগেই বেশ কয়েকটি চালানে টিকাগুলো দেশে আসবে বলে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান।
গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘কোভ্যাক্স কী পরিমাণ টিকা দেবে, কয়টি চালানে কোন দেশের টিকা আসবে তার একটা হিসেব বাংলাদেশ সরকারকে চিঠিতে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যেই ছয় কোটি ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এই ছয় কোটি ডোজ টিকা পাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে, পরবর্তীতে কোভ্যাক্স থেকে টিকা নিতে চাইলে সরকারকে আর্থিক মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, টিকা নিতে এ পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা এসেছে দুই কোটি ৯০ লাখ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে, এজন্য প্রয়োজন ২৬ কোটি টিকা। সরকারি-বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, ৬ কোটি টিকা পাওয়ার পরও দেশের প্রয়োজন পড়বে আরও ২০ কোটি টিকা।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে ৩টি নতুন উৎস উন্মোচন হয়। বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স, চীন ও রাশিয়া।
দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাদান নিশ্চিতের বৈশ্বিক জোট গ্যাভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোভ্যাক্স ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশকে ১৯০ কোটি টিকা বিতরণ করতে চায়, যার মধ্যে বাংলাদেশ পাবে ৬ কোটি টিকা।
এরই মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫৫ লাখ টিকা আর ফাইজার পাঠিয়েছে ১ লাখ টিকা। চীনের সিনোফার্ম থেকে এসেছে ৩৪ লাখ ৭১ হাজার টিকা। জাপান উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে ১৬ লাখ টিকা। সব মিলিয়ে কোভ্যাক্স থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে ১ কোটি ৭ লক্ষ ১৫ হাজার টিকা।